কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া


প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ০১ মে ২০১৫

কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ ধরনের যানবাহনের কাছ থেকে পহেলা মে সকাল থেকে পূর্ব নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বিআইডব্লিউটিএ। কাওড়াকান্দি নৌরুটে রাতে আটকে পড়া ফেরিগুলোকে সকাল ৬টার পর থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে বহুল প্রচার-প্রচারণা না থাকায় অনেক চালক অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এ কারণে অনেক পরিবহনের চালকরা পড়ছেন বিপাকে।

কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিএর, ব্যবস্থাপক এম, এ সালাম মিয়া জাগো নিউজকে জানান, পহেলা মে সকাল ৬টা থেকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌ রুটে চলাচলকারী ৫ ধরনের যান বাহনের কাছ থেকে পূর্ব নির্ধারিত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বিআইডব্লিউটিএ।

যেসব পরিবহনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে তা হলো, প্রাইভেট কার পূর্বের  ৪২০ টাকার পরিবর্তে এখন ৫০০ টাকা, মাইক্রোবাস ৭৮০ টাকার  পরিবর্তে ৮৬০ টাকা, পিকআপ ৭২০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা, মোটরসাইকেল ৬০ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা এবং রিকশা-ভ্যান (অটোরিকশা) ২০৪ টাকার পরিবর্তে ২৭০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

এছাড়া যাত্রীবাহী ছোট-বড় বাস এবং সকল ধরনের পন্যবাহী ট্রাক অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধির আওতায় পড়েনি। যা পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া দিয়েই ফেরি পারাপার হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কাওড়াকান্দি রাতে শিমুলিয়া ও কাওড়াকান্দি ঘাটে আটকে পড়া ছোট যানবাহনকে  সকাল ৬টার পর অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফেরি পারাপার করা হয়।

অপরদিকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চ ও স্পিডবোটের যাত্রীদের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। সরকারের পূর্ব নির্ধারিত বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ রুটের যাত্রীরা লঞ্চের অতিরিক্ত সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘাট এলাকায় লঞ্চ থেকে কখনো মাঝ পদ্মা নদীর স্পিডবোটে চড়ছেন।

এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।