বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত ৩ জানুয়ারি ভূমিকম্পের ফলে ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পরে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার। এরপর উপজেলা প্রকৌশলী ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন। তাই ভবন থাকলেও শ্রেণিকক্ষ সংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ১৯৩৮ সালের দিকে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ৩৪ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালের দিকে স্কুলটি নিবন্ধন পেলে ধারার বেড়া দিয়েই কার্যক্রম চালানো হয়। এরপর বিদ্যালয়ে ৩ তালা একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। বিগত বেশ ক’টি বড় বড় ভূমিকম্পে ভবনটি অক্ষত থাকে। কিন্তু গত ৩ জানুয়ারির ভূমিকম্পে ভবনটির নিচতলার ১৩টি স্তম্ভ ও ওপরের অংশে বিমে বেশ বড় বড় ফাটল দেখা দেয় যার ফলে ভবনটি পশ্চিম অংশে হেলে পড়ে ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হেকিম বলেন, মূল ভবন পরিত্যাগ হওয়ায় প্রায় ৫শ ছাত্রছাত্রী নিয়ে মাত্র ২টি শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যদান করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোনো ফল মেলেনি । ভবনটি অপসারণ না করা হলে যে-কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বজলু মিয়া জানান, মূল ভবনের পাশে একটি রাস্তা ও মক্তব রয়েছে এবং বিদ্যালয় চলাকালে অনেক শিক্ষার্থী ভবনের নিচে চলে যায়। এতে ভবনটি ভেঙে পড়লে ব্যাপক প্রাণহানি হবে বলে তিনি মনে করেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার জহিরুল হক বলেন, এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে বার বার বলেও কোনো লাভ হয়নি ।

উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যদি মেরামত করা সম্ভব হয়, তাহলে মেরামত করা হবে অথবা ভেঙে দেয়া হবে। এখন ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।