তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবার প্রতীক কমিউনিটি ক্লিনিক


প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

তৃণমূল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে নিভৃত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তোলা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো জনগণের স্বাস্থ্যসেবার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সেখানে প্রসূতি মায়ের নিরাপদ প্রসবসহ বিভিন্ন গুরুতত্বপূর্ণ সেবা ও পরামর্শ দ্য়ো হচ্ছে।

গ্রামীণ জনগণের দোর গোড়ায় একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজের’ মাধ্যমে সমন্বিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রাম-ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার। আর প্রতি ক্লিনিকে একজন করে নিয়োগ দেয়া কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা পৌছাচ্ছে।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক আয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালিত্তোর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার ফরিদ আহমদ, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, ডা. সাইদুল মোস্তাকিম, বেসরকারি সংস্থা পিএইচডি এর কো-অর্ডিনেটর নুরুল কবির, ফার্মাসিস্ট সমর শর্মা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিপ্লব বড়ুয়া, সিএইচসিপি রেজাউল করিম রাজু, সুদর্শন কান্তি দাশ, রোকসানা আকতার বক্তব্য রাখেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম।

রামু উপজেলা সিএইচসিপি সভাপতি রেজাউল করিম রাজু বলেন, তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গ্রামীণ পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়।

১৯৯৮ সালের শেষের দিকে সরকার পল্লী এলাকায় কমবেশি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই প্রেক্ষিতে ২০০১ সালের মধ্যে ১০ হাজার ৭২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ এবং ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করতে সক্ষম হয়।

কিন্তু মাঝখানে বিএনপি সরকারে এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার পথ রুখে দেয়। আবার ২০০৯ সালে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। কিন্তু চাকরি জাতীয়করণ না হওয়ায় হতাশায় রয়েছে দেশব্যাপী কর্মরত সিএইচসিপিগণ।

রিয়াজ উল আলম বলেন, সিএইচসিপিদের হতাশার কোনো কারণ নেই। এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প। এখানে কর্মরতদের চাকরি সহসাই জাতীয়করণের পথে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী জুনের মধ্যে রামুর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সোলার প্যানেল বসানো হবে। পানির সমস্যায় থাকা ক্লিনিকে দেয়া হবে গভীর নলকূপ। জরাজীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো অবিলম্বে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ সূচনা করেন। এর আগে হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।