ম্যাটস’র বিক্ষোভে পুলিশি লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক আহত


প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থাসহ ৪ দফা দাবিতে বাগেরহাট ম্যাটস-এর পক্ষ থেকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিল সহকারে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে অবরোধ করাকালে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

এ সময়ে পুলিশ কয়েক শিক্ষার্থীকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়। আহতদের মধ্যে শাহাব, সাগর, রাহাত, জায়ের, তমা ও শামিমাসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। বাগেরহাট শহরের মুনিগঞ্জ মেডিকেল স্কুল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সমাবেশে বক্তৃতা করেন, ম্যাটস-এর সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়ার মাহমুদ, মে. মাসুদ রানা, আইরিন সুলতানা ইতি, তানজিলা আক্তার প্রমুখ।

ম্যাটস-এর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা, মেডিকেল অ্যাডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন, কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকারিভাবে ১০ম গ্রেডে নিয়োগ ও বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ম্যাটস থেকে পাসকৃত ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের পদ সৃষ্টি ও বাস্তবায়ন করাসহ ইন্টার্নশিপে ভাতা প্রদানের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

বাগেরহাট ম্যাটস-এর সভাপতি মো. গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়ার মাহমুদ বলেন, দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করি। পরে আমরা দড়াটানা ব্রিজের সামনে সড়কে অবস্থান করলে পুলিশ আমাদের ওপর চাড়াও হয়। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে আমাদের অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

এদিকে বাগেরহাটের পুুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, ম্যাটস-এর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে তাদের প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বলা হয়। তখন তারা সেই কর্মসূচি প্রত্যাহার না করলে পুলিশ তাদের মহাসড়ক ত্যাগ করতে বাধ্য করে। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

শওকত আলী বাবু/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।