কিছুই বলতে পারছেন না মেহেদী
রাজধানীর বনানী থেকে গত ডিসেম্বর মাসে ‘নিখোঁজ’ চার শিক্ষার্থীর মধ্যে ফিরে আসা মেহেদী হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এতদিন কোথায়, কীভাবে ছিলেন কিছুই বলতে পারছেন না মেহেদী হাসান।
বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মেহেদী হাসান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাকে সুস্থ করে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মেহেদী হাসান বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং বিএম কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালাম জানান, এতদিন কোথায় ছিল আমরা তা জানার চেষ্টা করছি। তবে মেহেদী সে রকম কিছুই বলতে পারছে না।
মেহেদী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলছে, এতদিন তার চেতনা ছিল না। তাই তিনি কোথায় কীভাবে ছিলেন কিছুই বলতে পারছেন না। শুধু বলেছেন, আজ তাকে গাড়িতে সড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর তাকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। তবে মেহেদীকে দুর্বল মনে হচ্ছে। তার কথা বার বার জড়িয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ডিএমপি নিউজ জানিয়েছে, ‘সকাল ৮টার দিকে মেহেদী নিজেকে সাভারের নবীনগর এলাকায় আবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে মেহেদী তার নিজ বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জে ফিরে যায়। এতদিন কোথায় ছিল এমন প্রশ্নে কিছুই বলতে পারেনি মেহেদী।’
এর আগে ১ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজার এলাকার নর্দান ক্যাফে রেস্তোরাঁয় ওই চার যুবককে একত্রে শেষ দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় তারা। পরে বনানী থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে তাদের সর্বশেষ ক্যাফেতে কথা বলতে দেখা যায়। পুলিশের ধারণা ছিল তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়েছে।
সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি