নাগেশ্বরীতে ভুলে ভরা প্রশ্নপত্রে বিপাকে শিক্ষার্থীরা


প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নির্ধারিত তারিখের একদিন পর পরীক্ষা শুরু হলেও ভুলে ভরা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অবহেলার কারণে ভুলে ভরা প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীরা ভালভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক, শিক্ষকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২২ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিন্ন সময়সূচীতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন জেলার অন্যান্য উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও প্রশ্নপত্র না পাওয়ার কারণে নাগেশ্বরী উপজেলার ১৯৩ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিতে পারেন নি শিক্ষকরা। পরে ২২ এপ্রিলের পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল নেয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা অফিস। এদিকে ২৩ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু প্রথম দিনের ১ম-৫ম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে অসংখ্য ভুল দেখা যায়। তবে তা প্রিন্টিংয়ের ভুল বলে চালানো হয়।

এদিকে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুলের পরিমান এত বেশি ছিল যা উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই। ১ম শ্রেণীর প্রশ্নে নাম এবং রোল লেখার কোন জায়গা ছিল না। ৩ নং প্রশ্নে  দডৎরঃব ঃযব সরংংরহম ংসধষষ ষবঃঃবৎ’ লেখা থাকলেও নিচের দশটি ঘরই ফাঁকা ছিল। ৬নং প্রশ্নের  একপাশে লেখা `ডৎরঃব ঃযব হধসব ঁহফবৎ ঃযব ঢ়রপঃঁৎব’ এবং অপর অংশ অন্য পৃষ্টায়। ৩য় শ্রেণীর ইংরেজি প্রশ্নপত্রে ২৬, ৪র্থ শ্রেণীর ৪৩ এবং ৫ম শ্রেণীর ৮৪ টি বানান ভুল। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভুল প্রশ্নের উত্তর ঠিকমত লিখতে পারেনি।

অনেকে এসে অভিভাবকদের বিষয়টি জানানোর পর তারা শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে শিক্ষকরা জানান, অফিস যে প্রশ্ন দিয়েছে তা দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।

এদিকে অভিভাবকরা জানায়, ভুল প্রশ্নপত্র দেখে যদি কোন শিক্ষার্থী বানান শেখার চেষ্টা করে তাহলে সে চিরস্থায়ীভাবে ভুল শিখবে। অথচ শিক্ষা অফিসের অবহেলা, উদাসীনতার কারণে ভুলে ভরা প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ভুল শেখানো হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাবুল করিম বলেন, এতে শিক্ষকদের কোন দোষ নেই। খরচ বাঁচাতে তারা প্রুফ না দেখায় ভুলগুলো থেকে গেছে।

নাগেশ্বরী ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরফিন আক্তার সিদ্দীকা বলেন, ভুলে ভরা প্রশ্নপত্র দিয়ে এই প্রথম পরীক্ষা হচ্ছে। সবার এ বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।

প্রশ্নপত্রে ভুল ও ১ম দিনের পরীক্ষা না হওয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।