রাহিমের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চাইলেন এলাকাবাসী
হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত এবার আরেক শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলায়। পাঁচ বছর বয়সী এ শিশুর নাম রাহিম হোসেন। বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে শিশুটি।
শিশুটির পরিবারের করুণ অবস্থা দেখে এলাকাবাসী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সহযোগিতা চেয়েছেন। তারা মনে করেন, গরিব এই শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নিলে হয়তো বেঁচে যাবে রাহিম।
চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করকোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর নাছির ফকির ও রোজিনা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে রাহিম। তার শরীরের মোট ওজন ২০ কেজি হলেও শুধু মাথার ওজনই প্রায় ১২ কেজি।
রাহিমের বাবা দিনমজুর নাছির ফকির জানান, ছেলেকে নিয়ে প্রথমে চাটমোহরে চিকিৎসকদের কাছে যাই। তারা চিকিৎসা করানোর পর পরামর্শ দেন ঢাকায় নেয়ার। পরে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাই। তারা জানান, তার অপারেশন করাতে অনেক টাকা খরচ হবে। অপারেশন করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে খুব কম।
তিনি জানান, চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার যা অর্থ ছিল সব শেষ করে ফেলেছি। এখন আর পারছি না। তাই বাড়িতে ফেলে রেখেছি ছেলেকে।
রাহিমের মা রোজিনা খাতুন জানান, জন্মের পর দুই মাস পর্যন্ত স্বাভাবিক শিশুর মতো থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বাভাবিক হতে শুরু করে তার মাথা। বয়স পাঁচ বছর হলেও এখনও সে কথা বলতে ও বসতে পারে না। তরল খাবার ছাড়া খেতেও পারে না।
রাহিমকে নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রতিবেশীরাও। কয়েকজন জানান, সমাজের বিত্তবানরা রাহিমের চিকিৎসায় এগিয়ে এলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবে রাহিম।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সবিজুর রহমান জানান, এ রোগের নাম ‘হাইড্রোসেফালাস’। মস্তিষ্কে পানি জমে এ রোগ সৃষ্টি হয়। চিকিৎসা ব্যয়বহুল হলেও ভালো নিউরোসার্জন দ্বারা অপারেশন করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব কেউ নিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন জাগো নিউজের সঙ্গে। যোগাযোগের ঠিকানা : আজহার কমফোর্ট কমপ্লেক্স (৫ম তলা), গ-১৩০/এ প্রগতি সরণি, মধ্যবাড্ডা, ঢাকা-১২১২, ফোন: ৮৮ ০২ ৯৮৪২৬৮৯।
এমএএস/আরআইপি