যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে জখম


প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৫

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় সালধ গ্রামে যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে মারপিট করে মারাত্মক জখম করেছেন এক পাষণ্ড স্বামী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গ্রামের মতিউর রহমান সিকদারের মেয়ে রুনা আক্তার ও আবুল হাওলাদারের ছেলে বিল্লাল হাওলাদারের সঙ্গে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। তখন মেয়ের পরিবার ছেলের পরিবারকে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ১ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র দেন। তাদের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর ভালোভাবেই চলছিল সংসার। পরে বিল্লালের বাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য রুনাকে বিভিন্নভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন বলে জানা যায়।

সম্মানের কথাে ভেবে রুনা নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। গত ২১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে স্বামী বিল্লাল হাওলাদার (৩০), বাবা বাবুল হাওলাদার ও মা শাহানাজ বেগম রুনাকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। তখন বেপরোয়াভাবে আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন রুনা।

চিকিৎসার জন্য তার বড় ভাই রিপন সিকদার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে সার্জারি ২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে নড়িয়া থানায় ১টি মামলা হয়েছে, মামলা নং ১৫।

রুনা আক্তারের বড় ভাই রিপন সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, যৌতুক লোভী স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়ির দাবি করা যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় আমার বোনকে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার হওয়া উচিৎ।

নির্যাতিতা রুনা আক্তার জাগো নিউজকে জানান, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে বিল্লাল আমাকে নানাভাবে যৌতুকের জন্য মারধর করতো। আমি প্রায় বাড়ি থেকে যা পারতাম তাকে এনে দিতাম। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকা এনে দেই। কয়েকদিন আগে আবার আমাকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বললে আমি অস্বীকার করি। কারণ, আমার বাবার কাছে টাকা নাই। তাই আমাকে বিল্লাল তার কোমরের বেল্ট দিয়ে ইচ্ছেমত আঘাত করে আর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি চুল ধরে টানাটানি ও লাথি মারলে আমি জ্ঞান হারাই। আমি ওর (বিল্লাল হাওলাদার) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, বিল্লাল হাওলাদার বিভিন্ন ধরনের নেশা করেন। মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং তার বউকে মাঝে মাঝেই মারধর করেন।

এই বিষয়ে বিল্লাল হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, আমি যদি অপরাধ করে থাকি তাহলে আমার শাস্তি হবে। আর যদি অপরাধ না করে থাকি তাহলে শাস্তি হবে না।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাগো নিউজকে বলেন, বিল্লালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।