সাভার ট্রাজেডিতে আজও থামেনি পরিবারের কান্না


প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

সাভার ট্রাজেডিতে জয়পুরহাট সদরসহ পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলার মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার ২ বছর পার হলেও আজও পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছে না।

একমাত্র উপার্জনক্ষম পরিবারের সদস্যটিকে হারিয়ে আজও তারা বাকরুদ্ধ। যেন সান্তনা দেয়ার মতো কেউ নেই তাদের পাশে। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সাহায্য না পেয়ে হতাশায় অনেক পরিবারকে দিন কাটাতে হচ্ছে।

সেদিনের সেই ভয়াবহ ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জয়পুরহাট সদরের চকগোপাল গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে নাজমা আক্তার, বুলুপাড়ার আবু কালামের মেয়ে কল্পনা আক্তার, বাগুয়ানের মৃত শ্রী শংকরের ছেলে শ্রী রাধাকৃঞ্চ ওরফে ফিরোজ।

পাঁচবিবি উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আ. রাজ্জাকের ছেলে আরমান হোসেন, বধুইলের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী মালিকা ওরফে মলিদা, তার মেয়ে মোহসিনা খাতুন (১৫) বারোকান্দি গ্রামের আনছার আলীর ছেলে আল-আমিন, ছাতিনালী গ্রামের হুজুর আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম, বারোকান্দি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা পারভীন, একই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে শাহীন রেজা, রীরনগর গ্রামের আ. সাত্তারের মেয়ে হাজেরা খাতুন ।

কালাই উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মৃত খয়বর আলীর মেয়ে সাজেদা ও আক্কেলপুর উপজেলার রাজকান্দা গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ।

আক্কেলপুর উপজেলার রাজকান্দা গ্রামে সাভার ট্রাজেডিতে নিহত আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে সরেজমিনে গেলে কথা হয় ভ্যানচালক বাবা আজিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে তিনি আজ দিশেহারা। সংসারে বিবাহযোগ্য একটি মেয়েকে নিয়ে সারাক্ষণ থাকতে হয় দুশ্চিন্তায়।     

এমন নানান সঙ্কটে দিন অতিবাহিত করছেন রানা প্লাজায় নিহতদের পরিবারগুলো।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।