নাছিরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান বুলবুলের


প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০১৫

বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল দোদুল্যমানতা ছেড়ে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সাংবাদিকসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী পরাজিত হবে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে সাংবাদিকদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তারা এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।

ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমাদের কাছে সবাই বস্তুনিষ্ঠতা আশা করেন। আমরাও বস্তুনিষ্ঠ হতে চাই। কিন্তু যেখানে দেশের অস্তিত্ব, জাতির অস্তিত্ব, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র, উন্নয়নের প্রশ্ন আসে, সেখানে আমরা নিরপেক্ষ থাকতে পারি না।

সাংবাদিক হলেও এখানে অবশ্যই একটি অবস্থান নিতে হবে। অবশ্যই স্বাধীনতার চেতনার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চান, যারা দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চান তাদের জন্য নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। অবশ্যই সাংবাদিকদের তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

নির্বাচন নিয়ে ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরো বলেন, যারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে, যারা সরকারকে অবৈধ আর নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলেন তারাই এই কথিত অবৈধ সরকার আর প্রশ্নবিদ্ধ কমিশনের অধীনে নির্বাচনে এসেছে। এই উপলব্ধি যদি তাদের আগে আসতো তাহলে এত প্রাণহানি ও সম্পদ ধ্বংস হতো না।

এসময় মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, যাদের ভোট দিলে নগর ভবন হেফাজতের ভবন হয়ে যাবে তাকে কি ভোট দিতে পারব? বেগম খালেদা জিয়া মধ্যরাতে হেফাজতের নেতাদের নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে বৈঠক করেন। আমরাতো আবারও হেফাজতের হাতে ঢাকাকে তুলে দিতে পারিনা। যে হেফাজত তেতুল তত্ত্ব দেয়, যাদের হাতে নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয় তাদের হাতে নগর ভবন তুলে দেবেন? আমরা যখন হেফাজতের হাতে নারী সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদ করি, তখন আমার দেশ পত্রিকায় শওকত মাহমুদ (বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিক) কলাম লিখে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় নারী রিপোর্টার পাঠানো হয় কেন?

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বুলবুল আরো বলেন, আপনারা কাছাকাছি থাকেন বলে নাছিরের দোষত্রুটিও হয়তো দেখতে পান। কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে, এক পরিবারে থাকতে গেলে ভাই হয়ে যদি আরেক ভাইয়ের দোষ দেখেন তখন কি করেন? সুতরাং দোদুল্যমানতা পরিহার করে আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে, আ জ ম নাছিরের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।

এ সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, আলী আব্বাস ও আতাউল হাকিম, সিইউজের সভাপতি এজাজ ইউসুফী, বিএফইউজের সহ সভাপতি আবু তাহের মুহাম্মদ, সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ এবং সিইউজের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।

এমজেড/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।