মরদেহ শনাক্তে সিলেটে ‘মর্জিনার’ বাবা ও ভাই


প্রকাশিত: ০৮:০৩ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা `আতিয়া মহলে` অপারেশন টোয়াইলাইটে নিহত ‘মর্জিনাই’ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে পুলিশের হাতে নিহত জঙ্গি জুবাইরা ইয়াসমিনের বোন মনজিয়ারা পারভিন ওরফে মনজিয়ারা বেগম কিনা তা নিশ্চিত হতে সিলেটে পৌঁছেছেন তার বাবা ও ভাই।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মনজিয়ারা ওরফে মর্জিনার বাবা নুরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সিলেটে এসে পৌঁছেন বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা।

বেলা সোয়া একটায় মহানগর পুলিশের এই মুখপাত্র বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মনজিয়ারার বাবা ও ভাইকে পুলিশি পাহারায় মহানগর পুলিশের সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়। এখন তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। এখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেলে তাদেরকে মরদেহ দেখানো হবে।

তিনি বলেন, মরদেহ পরিচয় পাওয়া গেলে আপনাদের (গণমাধ্যমকে) জানানো হবে।

পুলিশ সূত্র জানায়, মর্জিনাই বান্দরবানের মনজিয়ারা পারভিন কিনা এটা নিশ্চিত হতে মঙ্গলবার সকালে সিলেট পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলা পুলিশকে বার্তা পাঠানো হয়। আর এ বার্তা পেয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ মনজিয়ারা পারভিনের পরিবারের দুই সদস্যকে সিলেট পুলিশের কাছে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এই পরিবারের আরেক সদস্য জহিরুল হক ওরফে জসিমকেও জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মূলত মর্জিনার ভাই জসিমের দেওয়া তথ্য মতেই সিলেটের এই জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পান জঙ্গি নির্মূলে গঠিত পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।

দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলের নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও মহানগর পুলিশের একটি দল গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে জঙ্গিদের ফ্ল্যাটের দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে পুরো ভবনটি ঘিরে রাখে পুলিশ।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পরে ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো দল। পরদিন তারা ওই ভবনের ২৯টি পরিবারের ৭৮ জন বাসিন্দাকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নেন তারা।

২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযান নিয়ে সেনবাহিনীর প্রেস ব্রিফিং শেষ দুই দফা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হন। আহত হন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ ৪৬ জন।

অভিযানের চতুর্থ দিনে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনী জানায়, অভিযানে চার জঙ্গির নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আছে তিন পুরুষ ও এক নারী। ভবনের ভেতরে আর কোনো জীবিত জঙ্গি নেই। এছাড়া অভিযান সফলভাবে শেষ হওয়ার পর ভবনে থাকা দুটি মরদেহ ও আতিয়া মহলের দায়িত্ব পুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।