স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবন্ধীদের আইসক্রিম দিলেন এসপি
মহান স্বাধীনতা দিবসে বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চুনিহারী একতা উন্নয়ন প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ।
আসনে বসার পরই তিনি ওই স্কুলের প্রতিবন্ধী শিশুদের দেখে আবেগাপ্লুত হন। পাশেই এক আইসক্রিম বিক্রেতা অনুষ্ঠানের মঞ্চের দিকে চেয়ে আছেন, আর বেশির ভাগ শিশুই ওই আইসক্রিম ওয়ালার দিকেই দৃষ্টি।
পুলিশ সুপার প্রতিবন্ধী শিশুদের দৃষ্টি লক্ষ্য করে এক পুলিশ অফিসারকে ডেকে শিশুদের আইসক্রিম কিনে দেয়ার নির্দেশ দেন। সকল প্রতিবন্ধী শিশু যখন হাতে আইসক্রিম পায় তখন তারা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। তাদের মুখে হাসি দেখে অভিভাবক, স্কুলের শিক্ষক ও অতিথিরা শুরু করে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা।
রোববার বিকেলে প্রতিবন্ধী শিশু ও নতুন প্রজম্মের কাছে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা একতা উন্নয়ন প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফারহাত আহম্মেদ, জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম স্বপন, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুর আলী, একতা উন্নয়ন প্রতিবন্ধী স্কুল ও পনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
পুলিশ সুপার ফারহাত বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধী শিশুরা বোঝা নয়, তাদের আদর স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বড় করতে হবে। মহান স্বাধীনতার বিষয় তাদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলে প্রতিবন্ধী ও নতুন প্রজন্ম স্বাধীনতার মাধ্যমে দেশের জন্ম কীভাবে হয়েছে তা জানতে পারবে।
প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ওদের বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ কম। শারীরিক অক্ষমতা আর নিবিড় পরিচর্যার কারণে ওদের বাইরে আসার সুযোগ কম। বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ এই শিশুদের জানার সুযোগ কম এই দেশ কীভাবে স্বাধীন হলো। কথা বলতে না পারলেও কীভাবে অন্যরা বাংলায় কথা বলে, বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতার ইতিহাস কী তা জানার জন্যই মূলত ওদের এখানে নিয়ে আসা।
পরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
মো: রবিউল এহসান রিপন/এএম/জেআইএম