সাবেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলা


প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৭
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নিহত শিশু কাজলের বাবা দিনমজুর হিরণ হাওলাদার বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কাজল তার নানীর সঙ্গে সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আত্মীয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল মান্নান হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় আব্দুল মান্নান কাজলকে গৃহকর্মী হিসেবে রেখে বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেয়।

৮ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে আব্দুল মান্নান হাওলাদার, গফফার হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন, ফেরদৌসী ওরফে মিনু কাজলকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। এসময় কাজল তার বাবাকে ধর্ষণের নির্মম কাহিনীর কথা জানায়।

তাৎক্ষণিক ঝালকাঠির সীমান্ত এলাকা বানারীপাড়া থানায় নিয়ে গেলে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন পুলিশ দিয়ে কাজলকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার কথা বন্ধ হয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজে  (শেবাচিম) পাঠিয়ে দেন।

শেবাচিমের কর্মরত চিকিৎসক জানান, ধর্ষণের ফলে ওই শিশুর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তাকে শারিরীকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ মার্চ ভোরে কাজল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।

কাজলের খালা হালিমা বেগম বলেন,  অভাবের কারণে কাজলকে মান্নান পুলিশের বাড়িতে কাজে দিয়েছিলাম। সে এমন কাজ করছে যে চিরতরে কাজল চলে গেছে।

মামলার আইনজীবী আক্কাস সিকদার জানান, বানারিপাড়া ছলিয়াবাকপুর খাজুরবাড়ি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা দিনমজুর হিরন হাওলাদার তার মেয়ে কাজলকে গৃহকর্মী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল মান্নান হাওলাদারের বাড়িতে কাজে দেন। মান্নান কাজলকে বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানি করতো।

৮ মার্চ তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়। যার ফলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কাজলের বাবা হিরণ হাওলাদার বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ দিলে আদালত তা ৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন।

আতিকুর রহমান/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।