তিনি ছাত্রীদের আদর করেন!
ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক স্কুলের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকার লোকজন। তারা ওই লম্পট শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এদিকে ঘটনা ফাঁস হবার পর থেকে তা ধামাচাপা দিতে স্কুলে যাচ্ছেন না ওই শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকসেদুর রহমান প্রায় ২ বছর ধরে স্কুলের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছেন। প্রধান শিক্ষকের এরূপ হয়রানির কথা ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা আশা রানীকে জানায় ছাত্রীরা। তিনি ছাত্রীদের কথা কর্ণপাত না করে উল্টো তাদের ধমক দেন এবং প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নেন। এতে বাধ্য হয়ে ছাত্রীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়। স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রীরা তাদের মা-বাবাকে ঘটনার কথা জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরা।
অভিভাবক দেব কুমার রায় জানায়, গত ৯ এপ্রিল তারা এই জঘন্য ঘটনার বিচারের জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি কিরণ চন্দ্র রায়ের কাছে যান। বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে লিখিতভাবে বিচার চাওয়া হলেও তিনি বিষয়টি তেমন আমলে নেননি।
অভিভাবকরা আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় বাধ্য হয়েই বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক মকসেদুর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি কোনো ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন নি। তিনি ছাত্রীদের আদর করেন।
এসএস/এমএএস/পিআর
