রোগীর মাকে থাপ্পড় মারলেন চিকিৎসক
যশোরে হাসপাতালে ভর্তি শিশুকন্যা সোনিয়া খাতুনের (৫) চিকিৎসার বিষয়ে অভিযোগ করায় মা রাবেয়া খাতুনকে মারধর করেছেন ডাক্তার গোলাম সরোয়ার।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার নাক, কান, গলা ওয়ার্ডের ৩৪ নম্বর বেডের পাশে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন নির্যাতিত নারী রাবেয়া খাতুন। তিনি (রাবেয়া) যশোর সদর উপজেলার সাতমাইল গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী। এ দম্পত্তির মেয়ে সোনিয়া খাতুন টনসিলে প্রদাহ জনিত রোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন জানান, ১২ এপ্রিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরামর্শে মেয়ে সোনিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরদিন সোমবার সারাদিন কোনো ডাক্তার আসেননি। রাত ১০টার পরে ডাক্তার গোলাম সরোয়ার পাশে রোগী দেখতে আসেন। এসময় রাবেয়া তার মেয়েকে সারাদিনে কোনো ডাক্তার দেখেননি বলার সাথে সাথেই গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেন চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার। এদৃশ্যে পাশের বেড়ের রোগী ও স্বজনরা হতভম্ভ হয়ে পড়েন। পরে রাবেয়া মুঠোফোনে ঘটনাটি স্বামী সুমনকে জানান। কিন্তু, রাত হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার সুমন হাসপাতালে এসে মৌখিক অভিযোগ দিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহা’র কক্ষে যান। কিন্তু, নববর্ষের ছুটি থাকায় তত্ত্বাবধায়ককে পাননি তিনি।
বুধবার লিখিতভাবে তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার দাবি করেছেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনাটি মিমাংসা হয়ে গেছে। অপরদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বুধবার সকালে রোগীর বেডের কাছে যান ডাক্তার গোলাম সরোয়ারসহ আরও কয়েকজন চিকিৎসক। এসময় তাদের ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন এ বিষয়ে তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। ঘটনার প্রমাণ পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএএস/আরআই