হাত-মুখ বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হাত-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক এক তরুণীকে (২৬) ধর্ষণ করেছে ৩ বখাটে যুবক। ঘটনার শিকার তরুণী ঢাকার একটি গার্মেন্টসের কর্মী। ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় এলাকার লোকজন মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় তাকে মতলব দক্ষিণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী জাগো নিউজকে জানান, মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামে তার বাড়ি। মঙ্গলবার বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা থেকে বাসে এসে দুপুর সাড়ে ১২টায় খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ধনারপাড় নেমে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল। হঠাৎ ধনারপাড় হাফেজ মিয়ার বাড়ির পাশে ৩ বখাটে যুবক তার গতিরোধ করে মুখ চেপে ধরে পাশের দাস বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং তার হাত-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
সে তিন যুবকের মধ্যে দু’জনকে চিনতে পেরেছে। এরা হচ্ছে, একই উপজেলার পদ্মপাল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রুবেল প্রধান (২৬) ও শান্তুর ছেলে সুমন (২৫)। পরে ওই ৩ যুবক তার কাছে থাকা ২ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জাগো নিউজকে জানায়, দুপুরে হাফেজ মিয়ার স্ত্রী পুকুরঘাটে গেলে মেয়ের চিৎকার শুনে দ্রুত ওই ঘরে যায়। এ সময় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পায়।
বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা, সুলতানাবাদ ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আ. কাদের জিলানী ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামসহ এলাকার লোকজন ওই তরুণীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে মতলব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তপন দাস হাসপাতালে গিয়ে তার জবানবন্দী নেয়।
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের ইনচার্জ মো. কুতুবুদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ইকরাম চৌধুরী/এফএ/আরআইপি