মেঘনায় তিন ঘণ্টায় ১০ বাড়ি নদী গর্ভে
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে ৩ ঘণ্টায় ১০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। গত রোববার উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চরমধুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিলীন হয়ে যাওয়া বাড়িগুলো হলো, আবুল কাশেমের তিনটি ঘর, মো. রবিউল্লাহ মিয়ার দুটি ঘর, হাসুবান বেগম, আবু বকর সিদ্দিক, আবদুল জলিল, মো.অলি উল্লাহ ও আমজাদ হোসেনের একটি করে ঘর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়।
ঘরের নির্মাণ সামগ্রী, আসবাবপত্র, গাছপালা ও জমির মূল্য অনুযায়ী প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা দাবি করেছেন।
খবর পেয়ে পরদিন বিকেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবুল হোসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল সালাম শিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল সালাম শিকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘নদীর পানি সামান্য বাড়লেই ভাঙন শুরু হয়। এখনই যদি স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ না হয় তাহলে চরমধুয়া নামক স্থানটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নিজ জেলায় আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হয় এটা খুবই দুঃখজনক।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল আমি পরিদর্শন করেছি। এই এলাকায় নদী ভাঙনের যে ধরণের সমস্যা তা স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হলে অবশ্যই নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
তবে সাময়িকভাবে ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ত্রান ও পুণর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমজেড/এমএএস/আরআইপি