‘অলওয়েদার’ সড়ক পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, সারা জীবন আমি রাজনীতি করেছি অবহেলিত ভাটি-বাংলার মানুষের উন্নয়নের জন্য। একুশ বছর বিরোধীদলে ছিলাম বলে হাওরে কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে পারিনি।
এখন সে উন্নয়নের ধারা সূচনা হয়েছে। আরও উন্নয়ন হবে। অবহেলিত পশ্চাদপদ ভাটি এলাকার মানুষকে খুব শিগগিরিই মূল ভূখন্ডের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের সুযোগ করে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ইটনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামকে সংযুক্ত করে অলওয়েদার রোড (সারা বছর চলাচল উপযোগী পাকা সড়ক) নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
ইটনা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আবুল হোসেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সড়ক ও জনপদ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাব উদ্দিন খান প্রমুখ।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. শাহ আজিজুল হকসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় নিজের উপজেলা মিঠামইনের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে করে যাত্রা করেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে তিনটায় তিনি ইটনায় এসে পৌঁছান।
রাতে মিঠামইনে সরকারি কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের সাথে মতবিনিময় শেষে কামালপুরে অবস্থিত নিজের বাড়িতে রাতযাপন করবেন তিনি। ১১ এপ্রিল বিকেল ৩টায় মিঠামইন থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে আসবেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিময় করবেন তিনি। ওই দিন শহরের খড়মপট্টি এলাকায় নিজ বাসভবনে রাত কাটাবেন। পরদিন ১২ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় কিশোরগঞ্জ থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
এমএএস/আরআই