তিস্তা ৭ হাজার কিউসেক পানি : বরি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি


প্রকাশিত: ০৩:৩২ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৫

তিস্তার কমান্ড এলাকার সেচ ক্যানেলগুলোতে পানি উপচে পড়ছে। ফলে তিস্তা ব্যারাজের যে ৪৪টি কপাট বন্ধ রাখা হয়েছিল তা ২৪ ঘণ্টা খুলে রেখে নদীর পানি ভাটিতে ছেড়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

ফলে নদীর পানি এখন তিস্তা ব্যারেজের উজান ও ভাটিতে স্রোততধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে পর্যান্ত সেচ পাচ্ছে  নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ৬৫ হাজার হেক্টর বোরো ক্ষেতগুলো। তিস্তা পলি মিশ্রিত সেচের পানি পেয়ে বোরো ক্ষেতগুলো লগলগ করে বেড়ে উঠছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত শুক্রবার রাত থেকে উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। যা সোমবার প্রায় ৭ হাজার কিউসেকে প্রবাহিত হতে থাকে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের ক্যানেলগুলোর প্রতিদিন পানির ধারণক্ষমতা ৫ হাজার কিউসেক। সেখানে নদীতে অতিরিক্ত পানি থাকায় সেই পানি তিস্তা ব্যারাজের ভাটির নদীতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে শুকিয়ে যাওয়া তিস্তা নদী এখন পানিতে যেমন ভরে উঠছে তেমনি পর্যান্ত সেচ পাচ্ছে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ৬৫ হাজার হেক্টর বোরো ক্ষেতগুলো।

তিস্তা কমান্ড এলাকার সেচভুক্ত কৃষকরা বলছে এখন তিস্তা প্রকল্পের সেচের পানি রাখার স্থান নেই। এতো পানি এসেছে যা এর আগে পাওয়া যায়নি। এখন দিন রাত বোরো ক্ষেতগুলো তিস্তার সেচের পানিতে ভরে থাকছে। তিস্তার পানি চুক্তি এ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে না হলেও উজান থেকে বর্তমানে যে পানি আসছে তাতে তিস্তা নদী অনেকাংশে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে তিস্তা পারের মানুষজন মনে করছেন।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে দাঁড়িয়ে ছিল ১০০ কিউসেকে। অথচ এ নদীতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন। গত ২৩ ফেবুয়ারি থেকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে। এ অবস্থা চলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তার পানি হু-হু করে বৃদ্ধির বিষয়টি অবাক করে দিয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে।

তিস্তাপাড়ের ভাষানীর চরের নৌকা মাঝি হাফিজার রহমান (৪২) বললেন, ভারত হয়তো তাদের গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় পানির জোয়ার বেড়ে গেছে।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।