কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ অনিশ্চিত


প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৫

জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কার্যক্রম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) অনিহার কারণে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত বছর ২৪ এপ্রিল দুই কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২৭ জুলাই রফিক কনস্ট্রাকশনকে কার্যাদেশ দেয় কুড়িগ্রাম এলজিইডি বিভাগ। সরকারি বিধানমতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সরকারের কোষাগারে ১১ লাখ টাকার পারফরমেন্স সিকিউরিটি জমা করা হয়।

অথচ এলজিইডি বিভাগ এখন পর্যন্ত ভবন নির্মাণের জমি নির্ধারণ করে দিতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

রফিক কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এলজিইডি সরকারি দপ্তর হওয়ার পরও চুক্তি মোতাবেক কাজ করতে পারছেন না তিনি। এ দপ্তরের অনিহা এবং উদ্যোগের অভাবে প্রায় এক বছর থেকে টাকা আটকে আছে। ফলে গুণতে হচ্ছে লোকসান। তিনি বিষয়টির দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।

কুড়িগ্রাম এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মলয় চক্রবর্তী জানান, ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে ভবন নির্মাণ বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। মূলত গত বছর নভেম্বর মাসে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই জটিলতার অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু জানান, এলজিইডি বিভাগের অনিহা ও অবহেলার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কমপ্লেক্স নির্মাণ বিলম্বিত হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমি বরাদ্দের ব্যাপারে উদাসীন হওয়ায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু ভুরুঙ্গামারীতে নয় কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, রৌমারী, উলিপুর, চিলমারী ও রাজারহাটে জমি বরাদ্দ না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কমপ্লেক্স নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভূমির জটিলতা নিয়ে আদালতে মামলাও গড়িয়েছে। তিনি এ সমস্যা দ্রুত সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


এসএইচএ/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।