বদরুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে খাদিজা


প্রকাশিত: ০৫:৩৯ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) বদরুল আলমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হয়েছেন কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।

বদরুলের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার ৩ মাস ২২ দিন পর হামলাকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রোববার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়েছেন তিনি। আদালতে বিচারকের সামনে বদরুলকে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন তিনি।

রোববার সকাল ১০টা ৪০মিনিটে একটি মাইক্রোবাসে করে আদালত প্রাঙ্গনে আসেন খাদিজা। এসময় তার বাবা-মা ও ভাই সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে খাদিজাকে হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি বদরুলকে সকাল ১০টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতের কারাগারে আনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বদরুলের উপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন খাদিজা।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, রোববার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদলতে খাদিজার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় মোট ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জন আগেই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ খাদিজার সাক্ষ্য নেয়ার পর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে।

তিনি বলেন, এরপরই আদালত যুক্তিতর্ক শুনানির তারিখ ধার্য করবেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাভার পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে নিজ বাড়ি সিলেটের আউশায় ফিরেন খাদিজা আক্তার নার্গিস।

গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ারে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর খাদিজাকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়।

অভিযুক্ত বদরুল আলম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।