মহেশখালীতে ৯৪ জনকে হত্যার তথ্য পেল ট্রাইব্যুনাল
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নানা তথ্য পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উচ্চ পর্যায়ের তদন্তদল। তদন্তে দেখা যায়, মহেশখালী সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি স্থানে ৯৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যা, ধর্ষণসহ নিরপরাধ মানুষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়।
শনিবার ও রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্তদলের ছয় সদস্য সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে সাতজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী তদন্তদলের কাছে এই নৃশংস হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বর্ণনা দেন। তদন্তদলকে তারা আরও জানান, স্থানীয় রাজাকার আলবদরের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা ছাড়াও বেয়োনেটের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়া অনেককে জীবিত অবস্থায় গণকবরে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করে।
উচ্চ পর্যায়ের তদন্তদলের সদস্যরা সোমবার মহেশখালীর বধ্যভূমি, গণকবর, মন্দির, জেটি ঘাটসহ হত্যাকাণ্ডের ৪০টি স্থান পরিদর্শন করেন। এছাড়া সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন বধ্যভূমি ও গণকবরও সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটে বেশি। বিশেষ করে হিন্দু সস্প্রদায়সহ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ও সহযোগিতা করা শতাধিক লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। স্থানীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটির নেতা-কর্মীসহ স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের সহায়তায় হত্যা করা হয় তাদের।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১ মার্চ কক্সবাজার চেম্বারের সাবেক সভাপতি ছালামত উল্লাহ খান, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মো. রশিদকে (বিএ) আটক করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তবে জেলার শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মৌলভী জাকারিয়া সিকদার এখনো পালাতক রয়েছেন।
এসএস/বিএ/পিআর