শরণখোলায় শিক্ষক ও তার পরিবারের উপর পুলিশি নির্যাতন!


প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৫

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক  কলেজ শিক্ষকের উপর নিষ্ঠুর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে শরণখোলা থানা পুলিশের দাবি পেশাগত কাজে বাঁধা ও এস আই মাহবুব হোসেনকে ওই কলেজ শিক্ষক আরিফ হোসেন দুলাল (৩৮) স্ত্রী শাহানা বেগম (৩০) ও তার পুত্র দশম শ্রেণির ছাত্র লিপু (১৪) মারধর করায়  তাদের  গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপর দিকে, ওই কলেজ শিক্ষকের পরিবারের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে  রোববার সন্ধ্যা  সাড়ে ছয়টার দিকে শরণখোলা থানা ঘেরাও করে উপজেলার বিভিন্ন স্তরের শত শত শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। এ সময় তারা ওসিসহ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবি জানান।

নির্যাতিত পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক বন প্রহরী আবুল কালাম হাওলাদার (ওরফে কালাম ফরেষ্টার) সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার বাসিন্দা ও তাফালবাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক আরিফ হোসেন দুলালের সাথে বসতবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ৫ এপ্রিল রোববার দুলালের বসত ঘরের বিল্ডিংয়ের কাজ (পাকা করণ) শুরু করলে কালাম ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম কাজে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা বিষয়টি শরণখোলা থানা পুলিশকে অবহিত করলে এস.আই মাহবুবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে কাজ বন্ধ করতে বলে। এ সময় কালাম ফরেষ্টারের পরিবার  ও দুলালের পরিবারের  মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে ওই এস আই আহত হয় বলে ওই এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার খান, শিরিন বেগম, ও সেতারা বেগম জানান।

পরবর্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আরিফ হোসেন দুলাল, স্ত্রী শাহানা বেগম, পুত্র লিপুকে শত শত এলাকাবাসীর সামনে প্রকাশ্যে নির্মম নির্যাতন চালায় পুলিশ। পুলিশের এমন বেপরোয়া নির্যাতনের দৃশ্য দেখে এলাকার অনেকেই হতবাগ হয়ে যান। দুলালের আত্মীয় সোলায়মান বলেন, দুলালের পরিবারের কাউকে চিকিৎসা না দিয়ে থানা হাজতে নিয়ে পুনরায় দুলালের স্ত্রীসহ অন্যান্যদের বেদম মারধর করে পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল মণ্ডল তাদেরকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ ব্যাপরে শরণখোলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ জানান, ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা না হলে ৬ এপ্রিল থেকে শরণখোলার সকল স্কুল মাদ্রাসা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হবে।

এ বিষয় বাগেরহাট জেলা  পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্লা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।