যশোরে বিএনপি’র ১২৫ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট


প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৫

যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদকসহ ১২৫ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৭ জনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত শেষে রোববার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ গণি মিয়া।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঘোপ এলাকার শামসুল হুদা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিরামপুরের রিয়াজুল ইসলাম, স্টেডিয়ামপাড়ার সালাহ উদ্দীন আহমেদ খান, পুলেরহাটের ইমদাদুল হক রঞ্জু, রেলবাজারের এসএম আসলাম হোসেন, পৌর কাউন্সিলর শেখ সালাহ উদ্দীন আহমেদ, শঙ্করপুর এলাকার জাকির হোসেন, শামিম আহমেদ মানুয়া, রানা বিশ্বাস, চাঁচড়া রায়পাড়ার জয়নাল আবেদীন, টালিখোলা এলাকার মশিউল আযম সোনা, ইয়ামিনুর রহমান, পুরাতন কসবা এলাকার মান্নান শফি, ঘোপ এলাকার সাব্বির হোসেন, ভেকুটিয়ার সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান টুনু সরদার, ভেকুটিয়ার খাইরুল ইসলাম, সুজলপুরের শামসুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, আব্দুস সবুর মন্ডল, সাংগঠনিক সমম্পদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস হোসেন, পৌর কাউন্সিলর হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তৈয়বুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক মাহতাব নাসির পলাশ,  সাবেক এমপি চমনআরা বেগম, সদর উপজেলা সভাপতি নূরুন্নবী, পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মহিলা দলর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল কলি, চৌধুরী হেদায়েতুল ইসলাম ভিকু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম হোসেন, যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, রাশিদা রহমান, জোসনা আলীম, ফেরদৌসী বেগম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান ধনি, এম তমাল আহমেদ, আনসারুল হক রানা, নূরুল ইসলাম মোল্ল্যা, রিপন চৌধূরী, রবিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন বাবুল, মোস্তফা আমীর ফয়সাল, অধ্যাপক ফারুক হোসেন, পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার আলী জুলু, শফিকুল ইসলাম, নিজাম উদ্দীন, আবুল হাসান জহির, আশানুর বদ্দী, নজরুল ইসলাম, আবু বকর, বাকিবিল্লাহ, আব্দুল আজিজ, জসিম, রেজাউল ইসলাম, আনিসুর রহমান, আমজাদ মোল্যা, ফজলুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, কেশবপুরের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলী, বালিয়াডাঙার তরিকুল ইসলাম, আলতাপোল গ্রামের বাবু ও উজ্জল, বায়সা গ্রামের মালেক, ভোবতী গ্রামের আলম, পলাশ, বেলকাঠি গ্রামের কবীর মেম্বর, কন্দপপুরের আব্দুল গফুর, বাঘারপাড়ার রায়পুর গ্রামের জিয়া, ইন্দ্রা গ্রামের আসাদ, আমিনুল মুন্সী, জিকু মুন্সী, দাতপুর গ্রামের দাউদ, শ্রীরামপুর গ্রামের বিল্লাল, দোহাকুলা গ্রামের মহসীন, শামসুল হুদা, জিয়া, আব্দুল হাই মনা, দয়ারামপুর গ্রামের মশিয়ার রহমান, তালবাড়িয়া গ্রামের হাকিম মাস্টার, বাঘারপাড়া গ্রামের আমজাদ, শ্রীরামপুর গ্রামের ফরিদ, করিমপুর গ্রামের শামসুর রহমান, মহিরণ গ্রামের আলমগীর হোসেন, বাঘারপাড়ার ৬ নং ওয়ার্ডের দাউদ, মহিরন গ্রামের কাসেদ, দোহাকুলা গ্রামের মুকুল, তালবাড়িয়া গ্রামের হিরু, তেঘরি গ্রামের আব্দুল আলী, বারভাগ গ্রামের নাজিম উদ্দীন মাওলানা, রাধানগর গ্রামের তবিবর মোল্যা, দোহাকুলা গ্রামের জসিম সিকদার, চৌগাছার কয়ারপাড়ার এমএ সালাম, সিংহঝুলির ইউনুস আলী, দেবীপুর গ্রামের মাসুদুল হাসান, পাঁচনামনা গ্রামের জহুরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, শহিদুল ইসলাম, মনিরামপুরের পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ মো. ইকবাল, মনিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক, ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিএম মিজানুর রহমান, শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, ঝিকরগাছার কীর্তিপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন কল্লোল, মোবারকপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন কমল, জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবু মুসা, পদ্মপুকুর গ্রামের আইয়ূব হোসেন মেম্বর, অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম আশা, নওয়াপাড়ার শেখ আসাদুল্লাহ আসাদ, গুয়াখোলার আসাদুজ্জামান জনি, প্রেমবাগ গ্রামের এসএম সিরাজুল ইসলাম, মাগুরার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন, যশোর সদর উপজেলার তপসিডাঙার মুজিবুর রহমান, ঘুনি  গ্রামের রফিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছার পারবাজারের ফয়সাল আহমেদ মুকুট, কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামের মশিউর রহমান ও ঝিকরগাছার আজমপুর গ্রামের সবুর দালাল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর প্রেসক্লাব যশোরের সামনে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ ৭ জনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই আজগর হোসেন বাদী হয়ে ১২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত আরও শতাধিক ব্যক্তির নামে পুলিশের কাজে বাধাদান, বিষ্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে দুইটি মামলা দায়ের করেন। সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আমিনুল ইসলাম কামাল, টনি, অ্যাড. বদরুজ্জামান  মিন্টু, মনিরুজ্জামান, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৪৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।