বগুড়ার সেই রোগী মারা গেছেন


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যার স্বজনদের সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ধর্মঘট করেছিলেন সেই রোগী মারা গেছেন।

আলাউদ্দিন (৬০) নামের ওই রোগী মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিএসআই শাহ আলম।

তিনি জানান, আলাউদ্দিনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরের কোনাগাতি গ্রামে। হাসপাতাল থেকে তার স্বজনরা লাশ নিয়ে চলে গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত আলাউদ্দিনকে শনিবার রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাসুদ আহসান রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আলাউদ্দিনের ছেলে রউফ সরকার অভিযোগ করেছিলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রুমের ফ্যান বন্ধ করার চেষ্টা করেও যখন পারছিলাম না তখন নাজ নামের এক ইন্টার্নি ডাক্তারকে বলি, আপা ফ্যানের সুইচটা কোথায়?

এসময় তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘আমি কি আয়া? আমি কি এই রুমে থাকি?’ এ সময় আসিফ নামে আরেক ডাক্তার এসে বলেন, ‘এই ডাক্তারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিস কেন?’ এ কথা বলে আমার শার্টের কলার চেপে ধরে মারতে মারতে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মারধর করে এবং একশ বার কান ধরে উঠবস করায়।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মুখপাত্র কুতুবুদ্দিন বলেন, অসাদাচরণের জন্য দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ বন্ধ করে ডাক্তারদের নিরাপত্তাসহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করি। পরে পরিচালকসহ সিনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধে জরুরি বিভাগের তালা খুলে দেয়া হয়। পরদিন সোমবার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটও প্রত্যাহার করা হয়।

রউফকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রউফ দুর্ব্যবহার করলে তাকে দমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।