তাদের আল্পনায় একুশের চেতনা


প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

একুশের প্রভাতফেরিতে ভাষার গানটির সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি বিষয় বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সেটি হলো প্রভাতফেরির রাস্তায়, শহীদ মিনার চত্বরে, ‘আল্পনা’ আঁকা থাকতেই হবে।

আজ যত সহজ ও স্বাভাবিকভাবে শহীদ মিনার চত্বরে এবং সমাজ জীবনের যেকোনো শুভ কাজে অনুষ্ঠানস্থলে আল্পনা আঁকা হয়। এর প্রতিষ্ঠায় রয়েছে সংগ্রামী ইতিহাস।
 
একুশের চেতনাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের কাছে তুলে ধরতে প্রথম বারের মতো রাস্তায় রঙয়ের তুলিতে আঁকা আল্পনা তুলে ধরেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠসংলগ্ন রাস্তায় আল্পনা আঁকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।

এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোরাব মানিক, উদিচির সভাপতি সেতারা বেগম, চিত্রশিল্পী ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক কাদেমুল ইসলাম জাদু প্রমুখ।

Thakurgaon

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তোবার মানিক বলেন, যাদের বিনিময়ে আমরা আজ বাংলা ভাষা এবং লাল সূর্য পেয়েছি। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমরা একুশের চেতনাকে নিয়ে যেতে চাই। যেন তারা এটাকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, মনের মাধুরি মিশিয়ে কল্পনার জগৎকে ফুটিয়ে তোলার আরেক নাম আলপনা। বাঙালির সকল প্রাণের উৎসবে মিশে আছে আলপনার রঙ। ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে আঁকা আলপনা আমাদের আরও বেশি করে ভাষার প্রতি, ভাষার জন্য আত্মত্যাগ কারীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ব্যক্ত করে। শহীদ মিনারের বেদিতে লাল নীল সাদা, হলুদ নানা রঙের বর্ণীল আলপনা আমাদের সব বয়সের মানুষকে একুশের চেতনায় উদ্দীপ্ত করে।

চারুশিল্পীরা কেউ দেখেনি গৌরবের সেই ভাষা আন্দোলন, তারপরও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের আয়োজনের অংশ হতে পেরে গর্বিত নতুন প্রজন্মেরা।

একুশ মানে ভাষা শহীদদের হারানোর শোক, একই সাথে একুশ মানে মাতৃভাষাকে অর্জনের গৌরব। এই শোক আর প্রাপ্তির গৌরবকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

মো: রবিউল এহসান রিপন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।