টাকা না পেয়ে কর্মচারীকে পেটালেন প্রকৌশলী


প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বদলির জন্য চাহিদা মতো ঘুষের টাকা না পেয়ে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশাহ্ মিয়ার বিরুদ্ধে অনিল চন্দ্র (২৮) নামে এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে পেটানোর অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার রাতে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অনিল চন্দ্র ওই প্রকৌশলীর অফিসের এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি বদলি নিয়ে নিজ জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় যোগদান করেন তিনি। অনিল হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুচরণ চন্দ্রের ছেলে বলে জানা গেছে।

শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনিল চন্দ্র জানান, তার নিজ উপজেলা হাতীবান্ধায় বদলি করাতে নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশহ মিয়ার সঙ্গে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দেয়ার মৌখিক চুক্তি হয়। এর মধ্যে তিন হাজার টাকা দিয়ে সম্প্রতি বদলির আদেশ নিয়ে হাতীবান্ধায় যোগদান করেন অনিল চন্দ্র।

শনিবার লালমনিরহাটের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সে কারণে অফিসের অতিরিক্ত কাজে সহযোগিতার কথা বলে অনিলকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশাহ মিয়া। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত অফিসের দায়িত্ব পালন করেন অনিল।

এই অবস্থায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিবার্হী প্রকৌশলী বাদশাহ্ মিয়া বদলির উৎকোচের বাকি টাকা দাবি করে অনিলের কাছে। কিন্তু অনিল তা পরে দিবেন বলে জানালে প্রচণ্ড গালমন্দ শুরু করে ওই প্রকৌশলী।

এক পর্যায়ে গোটা অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে অনিলকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশাহ্ মিয়া। অনিলের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ও পরে সহকর্মীরা ছুটে এলে সটকে পরে বাদশাহ আলম। পরে অনিলকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন অফিসের সহকর্মীরা।

লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য অফিসের কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিবার্হী প্রকৌশলী বাদশাহ্ মিয়া বিভিন্ন সময় কর্মচারীদের ডিপুটিশনে পাঠায়। পরবর্তীতে আবার সেই কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ডিপুটিশ বাতিল করে নিজ কর্মস্থলে ফেরত পাঠান।

এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলীর বাদশাহ্ মিয়ার কার্যালয়ে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। এসময় তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি।

রবিউল হাসান/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।