ধর্ষিত কিশোরীকে নির্যাতন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
সালিশ বৈঠকে কিশোরী ও এক যুবককে মারধরের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এর আগে সালিশ-বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের (ইউপি) হাতে নির্যাতিত ওই কিশোরীর ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় উঠে।
এ ঘটনায় হাজির হাট তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বুধবার কমলনগর থানায় মামলা দায়ের মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, চরমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী মিয়া ভাই এবং ওই ইউপির গ্রাম পুলিশ রাশেদ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মধ্যম চরমার্টিন গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়েজামাই আবদুল হাই কালু শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ডিসেম্বরের শেষ দিকে কালু তার স্ত্রীর ছোট বোনকে মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে চট্টগ্রাম নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে এক বাসায় ‘আটকে রেখে ধর্ষণ’ করেন। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে সেখান থেকে ৩০ ডিসেম্বর বাড়ি নিয়ে আসে।
এর পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান ইউসুফ ও গ্রাম পুলিশ রাশেদ মিলে কালু ও তার শ্যালিকাকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, সালিশ বৈঠকে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী নির্যাতনের ভিডিও ফেইসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি জানা যায়। পুলিশ অবগত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও বলেন, এদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে কমলনগর থানা পুলিশ আবদুল হাই কালুকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এছাড়া মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও এখনও ফলাফল জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম