বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি করায় ক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যশোরের শার্শায় বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা দিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের নির্ধারিত তারিখ ছিল।

কিন্তু স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম ও মশিয়ার রহমানের হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিট পিটিশনের কারণে আদালত শুনানি শেষে শার্শায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তিনমাসের জন্য স্থগিত করে দেন।

গত ১৫ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহবুবুর রহমান ফারুকীর এক পত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মশিয়ার রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি, শার্শা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার নাসির উদ্দীনকে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি সদস্য, মোফাজ্জল হোসেন বাবলুকে জেলা কমান্ডের প্রতিনিধি সদস্য, আলমাজ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মোজাফফর হোসেন, আব্দুল জলিলকে মুবির সদস্য প্রতিনিধি, মোহাম্মদ আলীকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করা হয়।

গত ১৮ জানুয়ারি আরেক পত্রে ওই কমিটি থেকে মশিয়ার রহমানের নাম বাদ দিয়ে কমিটির সভাপতি আলমগীর কবীরকে পুনরায় শার্শা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কেন তাকে এ কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে না তার প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম ও মশিয়ার রহমান গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম তিনমাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এ ঘটনায় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা জানান, আলমগীর কবীর ও অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি থেকে বাদ না দিলে শার্শায় অভিযুক্ত ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষিত থেকে যাবে। আবারও তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে। ফলে সরকারের সাফল্য সমালোচিত হবে।

মোঃ জামাল হোসেন/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।