সাফারি পার্কে ইজারাদারদের হামলায় ঢাবির ২০ শিক্ষার্থী আহত


প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে ইজারাদারদের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শনিবার দুপুরে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন, আব্দুল লতিফ (৩৫), কবির হোসেন (৩৮), মোস্তফা (৩২), সাইফুল (৩৮) ও হেলেনা (৪৫)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের প্রধান ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ জানান, বন অধিদফতর থেকে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী বিশেষ ছাড় প্যাকেজ নিয়ে পার্কে প্রবেশ করছিল। এসময় পার্কের গেটে দায়িত্বরত ইজারাদারা শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ বাদে অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখালে তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।  কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এখনও কোনো আইডি কার্ড ইস্যু না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তির রশিদ ও লাইব্রেরি কার্ড দেখালেও তাদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।

এ নিয়ে ইজারাদারদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শ্রীপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও গেটের ইজারাদার সফিকুর রহমান ও শ্রীপুর থানা কৃষক লীগের সভাপতি মো. কবির হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

Gazipur

হামলায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।  

মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র মো. আনিসুর রহমান জানান, বন বিভাগের অনুমতি ও পরিচয়ের বৈধ কাগজ-পত্র থাকার পরও সফিক ও কবির তাদের লোকজন নিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের ইনস্টিটিউটের দুই ছাত্রীসহ ২০ জনকে লাঠিপেটা করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, বৈধ অনুমতি নেয়ার পরও এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। স্থিরচিত্র দেখে এ ঘটনায় এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইজারাদার সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, পার্কে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে গেটের কর্মচারীদের সঙ্গে বাক-বিতাণ্ডা শুরু হয়। তা দেখে আমি এগিয়ে গেলে আমার পেছন থেকে হামলা চালানো হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সহকারী বন সংরক্ষক ও পার্কের ইনচার্জ মো. শাহাবুদ্দিন জানান, ঘটনাটি যেহেতু প্রধান ফটকের সামনে ঘটেছে সেহেতু এ ঘটনার সঙ্গে ইজারাদারদের লোকজন জড়িত। ঘটনার খবর পেয়ে ভেতর থেকে বন বিভাগের কর্মীরা ফটকের সামনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

আমিনুল ইসলাম/এআরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।