কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ লাগিয়ে ‘পুরুষ’ সেজেছিল জুলেখা
ফেনীর ফুলগাজীর জিএম হাট ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের ছেলেতে রূপান্তর হওয়ার দাবিকারী জুলেখাকে (১৫) তার বাবা-মাসহ গ্রেফতারের পর পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষার পর দেখা গেছে, জোলেখার গোপন স্থানে রাবারের তৈরি কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ লাগানো রয়েছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ফুলগাজীর জুলেখা হয়ে গেল হৃদয় চৌধুরী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সময় জুলেখার বাবা শফিকুর রহমান পাটোয়ারী দাবি করেছিলেন, জিনের ইচ্ছায় তার মেয়ে ছেলেতে রুপান্তরিত হয়েছে। তিনি তখন তার নাম রেখেছিলেন হৃদয় চৌধুরী শুভ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমার নেতৃত্বে ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোর্শেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শামছুদ্দিন ইলিয়াছ, জিএমহাট ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক নুরপুরে জুলেখার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরে জুলেখাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ লাগিয়ে পুরুষ সেজেছিলেন তিনি। এ সময় জুলেখা, তার বাবা শফিকুর রহমান পাটোয়ারী (৬০), মা শামছুন নাহারকে (৩৮) গ্রেফতার করে ফুলগাজী থানা পুলিশ।
পুলিশের কাছে তারা জানায়, মানুষের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা আদায়ের জন্য তারা জিনের কথা বলেছিল ও জুলেখাকে পুরুষ সাজিয়েছে।
এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসী জানায়, ভণ্ড শফিকুর রহমান পাটোয়ারী ৭টি বিয়ে করে। জিন-কবিরাজের কথা বলে তিনি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জুলেখা ও তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে। ওসি জানান, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এএম