অনুপ্রবেশকারিরা দেশের জন্য ‘বিষফোঁড়া’


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৫

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. খালেকুজ্জামান পিএসসি বলেছেন, বিজিবির কড়া নজরদারিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ অনেকটা কমেছে। কিন্তু বিজিবি একা কখনো এটি রোধ করতে পারবে না। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজনকে সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে, অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের জন্য ‘বিষফোঁড়া’ স্বরূপ।

দেশে এবং বিদেশে তারা আমাদের কর্মবাজার দখলের পাশাপাশি অপকর্ম করে সুনাম ক্ষুন্ন করছে। সবার আন্তরিক সহযোগীতা পাওয়া গেলে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ সম্ভব।

কক্সবজারের টেকনাফে আয়োজিত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। ৩০ মার্চ বিকেলে টেকনাফ বিওপি সংলগ্ন এজাহার মাঠে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সেক্টর কমান্ডার বলেন, অতন্ত্র প্রহরায় ২০১৪ সালে ৩ হাজার ২০০ জন এবং চলতি বছরে বিগত তিন মাসে ১ হাজার ৬১৯ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটকের পর স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকনাফ-উখিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ।

অনুষ্ঠানে ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ (পিবিজিএম), উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান খন্দকার, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম বক্তব্য রাখেন।

সভায় প্রধান অতিথি এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুপ্রবেশ রোধে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবিসহ বিপুল সংখ্যক সধারণ জনতা অংশ নেন।

এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।