বিলুপ্ত কচ্ছপের পিঠে স্যাটেলাইট বসিয়ে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত

বিলুপ্তপ্রায় বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সংরক্ষণ ও এর প্রজনন সম্পর্কিত তথ্য জানতে পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে এ প্রজাতির দুইটি কচ্ছপ সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় আদাচাই এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে মংলার ফুয়েল জেটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কচ্ছপ দুইটি অবমুক্ত করেন বন বিভাগ, টারটেল সারভাইভাল এলায়েন্স, ভিয়েনা জু এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।
এর ফলে কচ্ছপের জীবনাচরণ সম্পর্কিত তথ্য ও পরিবেশগত ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এ গবেষণার মধ্যদিয়ে জানা যাবে, এ প্রজাতির কচ্ছপের স্বভাব, খাদ্য সংগ্রহ, বিচরণ, পরিবেশসহ তারা বঙ্গোপসাগের কতটা গভীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে। এছাড়া এ কচ্ছপ বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশ ছেড়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কা অংশে যায় কি-না সেটাও জানা যাবে।
এক বছর ধরে কচ্ছপ দুইটির গতিবিধি পর্যালোচনা করা হবে। পর্যলোচনা ও গবেষণা শেষে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে এ প্রজাতির কচ্ছপের আরও কয়েকটি বাচ্চা অবমুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন এলাকায় ২০১৪ সালে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র। এ কেন্দ্র থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে কচ্ছপের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পর সেগুলো নির্দিষ্ট বয়সের পর সুন্দরবনের নদী ও বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন এ প্রকল্পের বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর মধ্যে কেবল বাংলাদেশ ও ভারতের সুন্দরবন এলাকায় ‘বাটাগুর বাসকা’ প্রজাতির কচ্ছপ রয়েছে মাত্র একশ’টির মতো। কচ্ছপ অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল খুলনার বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির, অস্ট্রেলিয়ার টাটাল আইল্যান্ডের প্রধান বিজ্ঞানী ড. পিটার প্রাসাগ, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।
এআরএ/পিআর