রাজনীতিবিদরা শুদ্ধ হলে সবাই শুদ্ধ হয়ে যাবে : সেতুমন্ত্রী
রাজনীতিবিদরা শুদ্ধ হলে সবাই শুদ্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশ টাকা খায়, মামলা এদিক-সেদিক করে। এটি যেমন সত্য। তেমনি সত্য, আমরা রাজনীতিবিদরা ঘুষ নিয়ে তাদের চাকরি দিই।
তিনি বলেন, পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে রাজনীতিবিদরা টাকা নেয়। পুলিশ সে টাকা তোলার জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। সব কিছুর জন্য একা পুলিশকে দায়ী করা ঠিক নয়। রাজনীতিবিদরা ঠিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
শনিবার দুপুরে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম মাঠে কমিউনিটিং পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ অপরটি হলো মাদক। উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এ দুটি অন্তরায়। চ্যালেঞ্জ দুটি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে ইয়াবা ছড়িয়ে পড়েনি। ইয়াবার বিষাক্ত ছোবলে দগ্ধ হচ্ছে আমাদের প্রতিটি গ্রাম, ধ্বংস হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যত যুব সমাজ। আমরা যে যেই দল করি, সাবই মিলে একটি শপথ নিতে হবে এ দুটি শত্রু মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এর জন্য কোনো দলবাজি নেই। এখানে কোনো রাজনীতি নেই। দেশকে বাঁচাতে হবে। জঙ্গিবাদ ও মাদক কারো বন্ধু হতে পারে না।
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক কমিউনিটি পুলিশিং সম্পর্কে বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এ কমিউটি পুলিশিং রয়েছে। এটি পুলিশের স্বল্পতার জন্য যে করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কমিউনিটি পুলিশিং একটি দর্শন। পুলিশ এবং জনগণ, এ দুই মিলে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।
জেলা পুলিশ সুপারের ইলিয়াস শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মামুনুর রশিদ কিরন এমপি, মোরশেদ আলম এমপি, এইচএম ইবরাহিম, আয়েশা আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. এবি এম জাফর উল্যা প্রমুখ।
সমাবেশে ৯ উপজেলা থেকে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির প্রায় ৫ হাজার সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। পরে সেতুমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক কোম্পানীগঞ্জ থানার নবনির্মিত ভবেনর উদ্বোধন করেন।
মিজানুর রহমান/এএম/আরআইপি