রাগীব আলীর মামলার রায় বৃহস্পতিবার


প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ভূমিন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির ঘটনায় আলোচিত শিল্পপতি ও দৈনিক সিলেটের ডাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার।

বুধবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলার আসামিদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। পরে অবশ্য রাগীব আলী ও তার ছেলে গ্রেফতার হলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ১১ সাক্ষীকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পুনরায় জেরা করেন। এছাড়া দুজন সাক্ষী আসামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে ও ভূমিন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি করে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল নেন রাগীব আলী। বাগানের একাংশে রাগীব আলী ও তার স্ত্রীর নামে মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করা হয়।

দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমিমন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।

এর পর চা-বাগানের আসল সেবায়েত পঙ্কজ উচ্চ আদালতে রিট করেন। গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে ওই চা-বাগান দখলকে অবৈধ ঘোষণা করে দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এসএম কাদিরের দায়ের করা মামলা দুটো পুনরুজ্জীবিত করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারিক হাকিম আদালতের নির্দেশে মামলা দুটি পুনরায় তদন্ত করে পিবিআই দুই মামলায় গত ১০ জুলাই রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ সাতজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও রাগীব আলী ও তার ছেলে আদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে স্মারক জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হলে ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে, মেয়ে এবং মেয়ের জামাই।

গত ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেফতার হন।
 
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।