রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তার দেশ অত্যন্ত আন্তরিক। এ কারণেই তিনি বারবার ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন। এছাড়া মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া হাজারো রোহিঙ্গার খোঁজ-খবর নেয়া অব্যাহত রেখেছেন। রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্নীলার লেদায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে যান মুচনী নয়াপাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পে। এসময় ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে রাখাইনদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তা প্রদর্শন করেন।
প্রথমে তিনি লেদাস্থ আইএমও’র স্বাস্থ্য ক্লিনিকে কর্মরত এনজিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বস্তি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা স্বজন হারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ অফিস প্রধান পে পে কেবি ছিদ্দিকী, বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাউলাউ মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিউল আলম, আইওএম কর্মকর্তা হাজেরা খানম প্রমুখ।
এর আগে সোমবার বিকেলে বিশেষ বিমানযোগে মার্শা বার্নিকাটের নেতৃত্বে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছান এবং বিকেল ৫টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআইসি) কার্যালয়ে যান। সেখানে আরআরআইসি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে প্রতিনিধি দলটি টেকনাফের লেদা এবং নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।
মার্শা বার্নিকাটের দলটি কক্সবাজার আসার আগে রোববার রাখাইন কমিশনের তিন সদস্যের একটি দল রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজারে আসেন। তারাও উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি এবং সমস্যা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। সোমবার তারা চলে যাবার পূর্বে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসে সীমান্তের নানা বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, উভয় প্রতিনিধিদলই রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/এমএস