স্বামীর ছোড়া এসিডে দগ্ধ স্ত্রী`র মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর ছোড়া এসিডে দগ্ধ গৃহবধূ ইয়াসমিন বেগম (৩২) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মত্যু হয়।
নিহত ইয়াসমিন ভূইগড় এলাকার গুলজার হোসেনের মেয়ে। এর আগে ২৩ মার্চ দিবাগত রাত দেড়টায় ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় গুলজার হোসেনের বাড়িতে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ দেবর-ননদসহ ৫জনকে আটক করে। পরে ইয়াসমিনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই ৫জনকে আদালত থেকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ইয়াসমিনের ভাই শাহ আলম জানান, ১৫ বছর পূর্বে আমাদের একই এলাকার আহম্মদ উল্লাহর ছেলে পলাশের সাথে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ১ ছেলে ২ মেয়ের জন্ম হয়। গত কয়েক বছর ধরেই ইয়াসমিনের সঙ্গে তার স্বামী পলাশের (৪০) পারিবারিক কলহ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ২৩মার্চ রাত দেড়টার দিকে জানালার ফাঁক দিয়ে ইয়াসমিনের শরীরে এসিড ছুড়ে মারে পলাশ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। এতে ইয়াসমিনের শরীরের মুখ থেকে পা পর্যন্ত অনেকাংশ ঝলশে যায়।
মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে ইয়াসমিনের মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত শেষে ইয়াসমিনের লাশ বাড়িতে এনে দাফন করা হবে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, পলাশের ভাই নেসার, তার বন্ধু বাচ্চু, বোন ফুজি, সুফি ও সুফির স্বামী মিজানসহ ৫জনকে আটক করে আদালত থেকে রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এখন যাচাই বাছাই চলছে এবং পলাশকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এমজেড/এমএস