সুন্দরবনে বন্ধ হচ্ছে না হরিণ শিকার
সুন্দরবন ও এর আশপাশের এলাকায় আবারো বেড়ে গেছে হরিণ শিকার। গত দু`মাসে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৪৩টি হরিণের চামড়া ও আটক করা হয়েছে ৩ পাচারকারীকে।
বিশেষজ্ঞ ও সচেতন মহল মনে করেন, হরিণ শিকারীদের এমন অপতৎপরতা হুমকিতে ফেলবে জীববৈচিত্র্যকে। অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শিকার বন্ধে তৎপর রয়েছেন তারা।
বরগুনার হরিণঘাটার বন ও সুন্দরবনের অন্যতম সৌন্দর্য মায়াবী চিত্রা হরিণ। কিন্তু অর্থলোভী কিছু অসাধু চক্র প্রতিনিয়ত হরিণ শিকার করছে। পাচার করছে হরিণের মাংস, চামড়া, শিংসহ বিভিন্ন উপকরণ। গত ২ মাসে র্যাবের ৩টি অভিযানে হরিণ শিকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৩টি হরিণের চামড়া।
সুন্দরবন ও তার আশপাশে এমন হরিণ নিধন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ ও সচেতন মহল। তাদের মতে, স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় ঘটছে এমন ঘটনা।
বরগুনা বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সোহেল হাফিজ বলেন, `এই চক্রটিকে স্ব-মূলে উৎপাটন না করা হলে এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনিদেরকে আরও সচেতন হতে হবে।`
বরগুনা বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, `পুলিশ প্রশাসন তৎপর হলে, বনবিভাগের কর্মকর্তাসহ সবাই যদি তৎপর থাকে তাহলে আর এই কাজগুলো হবে না।`
বরগুনার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, `এককভাবে সরকারের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। যেকোন আইনই বাস্তবায়ন করতে সাধারণ নাগরিকদের মুখ্য ভূমিকা থাকা উচিৎ।`
তবে শিকারি চক্রকে নির্মূল করতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর আছে বলে দাবি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার।
এআরএস/এমএস