জয়পুরহাট বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদনে অচলাবস্থা
টানা হরতাল-অবরোধে জয়পুরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর উৎপাদন কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। কাঁচামাল ও পরিবহন সংকটে ৬০ শতাংশ কারখানায় উৎপাদন বন্ধের পথে। বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক।
বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন শিল্পনগরীর কারখানা মালিকরা। এভাবে হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে লোকসানে অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে বেশিরভাই কল-কারখানা। জয়পুরহাট বিসিক শিল্পনগরীতে খাদ্য পণ্য, প্লাস্টিক, কীটনাশক, ওষুধ, জৈব সার, পোল্ট্রি ফিড, পোল্ট্রি হ্যাচারী সহ বিভিন্ন ধরনের ৩৪টি ছোট বড় শিল্প কারখানা রয়েছে।
এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহী করেন প্রায় ১ হাজার শ্রমিক। টানা হরতাল-অবরোধের কারণে কারখানাগুলোতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিসিক শিল্পনগরী এখন অনেকটাই স্থবির।
কীটনাশক কোম্পানী এপেক্সের ব্যবস্থাপক মাইনুল হাসান বলেন, টানা অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে কাঁচামাল আনা সম্ভব হচ্ছে না। আবার উৎপাদিত পণ্যগুলোও পরিবহন সংকটের কারণে সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
কিষাণ হ্যাচারীর ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা একদিনের মুরগীর বাচ্চা উৎপাদন করি। এ বাচ্চাগুলোতো গুদামজাত করতে পারি না। যেদিন উৎপাদন হয় সেদিনই পোল্ট্রি খামার মালিকদের কাছে বিক্রি করতে হয়। বিপুল সংখ্যক এক দিনের উৎপাদিত বাচ্চা নিয়ে আমাদের মতো মহাবিপদে পড়েছেন হ্যাচারী মালিকরা।
বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিক রবিউল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম, মনিরুল ইসলামসহ অনেক শ্রমিকই জানান, কাজ কমে যাওয়ায় মালিকরা বেশির ভাগ সময় বেতন ভাতা দিতে পারছেন না। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
জয়পুরহাট বিসিক শিল্পনগরী কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, হরতাল আর অবরোধের কারণে জয়পুরহাট বিসিকের পণ্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কাঁচামাল ও পরিবহন সংকটের কারণে বিসিক শিল্পনগরীতে প্রায় ৬০ শতাংশ উৎপাদ কমে গেছে। আবার যেসব পন্য উৎপাদন হয়ে গেছে সেগুলোও বাইরে সরবরাহ করতে পারছেন না কারখানা মালিকরা। এভাবে চলতে থাকলে সম্ভাবনাময় জয়পুরহাট বিসিক শিল্পনগরীর সব কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
এমজেড/এমএস