রাসিকের বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ


প্রকাশিত: ০৫:৫৩ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০১৭

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে আগামী ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের ৬ নম্বর দ্বৈত ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদুল্লাহ এই স্থগিতাদেশ দেন।

বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

তিনি জানান, এই আদেশের পর রাসিকের বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স নেয়া বন্ধ থাকবে।  রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আলী আকবর প্রামাণিক, অ্যাডভোকেট শামীম আরা বিল্লাহ, রাজশাহী মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, আতিউর রহমান এবং ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মৃধা ওই ওই রিট করেন।

অস্বাভাবিক হারে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ওই রিট করা হয়। গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ট্যাক্সসেস রুল ১৯৮৬-এর ২০ ও ২১ ধারায় জনস্বার্থে ওই রিট করা হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসিক কর্তৃপক্ষকে জবাব দেয়ার আদেশ দেন।

এদিকে রাসিকের অস্বাভাবিহারে হোল্ডিংসহ অন্যান্য ট্যাক্স বাড়ানোর ঘটনা তদন্ত করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার রাজশাহী বিভাগের পরিচালককে বিষয়টি সরেজমিন তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর অনুলিপি রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা জানান, বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ওঠার পর গত ২১ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেন তিনি। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি এই চিঠি দেন। ওই চিঠির প্রেক্ষিতেই রাসিকের অস্বাভাবিক কর বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় উপ-সচিব মাহমুদুল আলম সাক্ষরিত চিঠির অনুলিপিটি তিনিও পেয়েছেন বলে জানান।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপির অভিযোগটি সরেজমিনে তদন্ত করা প্রয়োজন। তদন্তের পর যত দ্রুত সম্ভব তার প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতেও বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মন্ত্রণালয়ে দেয়া ওই চিঠিতে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন- স্থানীয় সরকারের বিধি অনুসরণ করে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করা উচিত। এই বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জটিলতা সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিংসহ অন্যান্য ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে লাগাতার কর্মসুচি পালন করে আসছে নাগরিক অধিকার সংগ্রাম  সংরক্ষণ পরিষদ। এরমধ্যে গত ১১ডিসেম্বও সংগঠনটির ডাকে নগরীতে হরতালও পালিত হয়। সর্বশেষ পালিত হয়েছে প্রতীকী গণঅনশন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।