প্রেমের টানে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে বিয়ে করলেন মার্কিন নারী


প্রকাশিত: ০২:৪৩ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

‘আমি সিংগাপুরে ছিলাম বেশ কয়েক বছর। মূলত এলিজাবেথের সঙ্গে সম্পর্কটা শুরুই হয় ওখান থেকে। ফেসবুকের মাধ্যমে। ২০১৫ সালে বন্ধুত্ব শুরু। আমরা দুই জনেই খ্রিষ্টান ধর্মের হওয়ায় আমাদের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। গত ২ জানুয়ারি এলিজাবেথ বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা ওকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ধর্মীয় রীতি মেনে গত ৬ই জানুয়ারি আমাদের বিয়ে হয়।`

Jhenidahকথাগুলো বললেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের পঞ্চানন্দ বিশ্বাসের ছেলে মিঠুন বিশ্বাস (২২)। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে চলে আসা মার্কিন নাগরিক এলিজাবেথের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এলিজাবেথ আমার সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে না পারলে হতাশ হয়ে পড়তো। আমাদের সম্পর্কটা ওর বাবা মা ও পরিবার মেনে নেয়নি। একপর্যায়ে তাকে চলে আসতে বলি। সেও আমার প্রস্তাবটা মেনে নিয়ে চলে আসে বাংলাদেশে।

একুশ বছরের মার্কিন নাগরিক এলিজাবেথ জানান, তিনি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। প্রথমে যখন তিনি তার পরিবরের কাছে তাদের সম্পর্কের কথা জানান তারা প্রশ্রয় দেয়নি। পরবর্তীতে তিনি ওয়াশিংটনে হিসাব রক্ষক হিসেবে একটি ফার্মে চাকরি নেন। সেই টাকা জমিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। এখন তাদের বিয়ে হয়েছে। ভালো আছেন। এসময় সবার কাছে আশির্বাদও কামনা করেন তিনি।

মিঠুন বিশ্বাসের বড় ভাই পলাশ বিশ্বাস বলেন, প্রথমে মিঠুন আমাদের পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলে। এরপর পরিবারের সম্মতিতেই এলিজাবেথকে আসতে বলে। প্রথমে আমরাতো বিশ্বাসই করিনি যে এলিজাবেথ সত্যিই চলে আসবে। এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় প্রথম। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

Jhenidah
রাখালগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু জানান, ঘটনা সত্য। এ এক বিরল ঘটনা। আমার জীবনে এমন প্রেম দেখিনি। তারা যেন সুখী হয়।

আহমেদ নাসিম আনাসারী/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।