জমিদারের মতোই সাম্রাজ্য চালাতেন নূর হোসেন


প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনের কর্মজীবন ট্রাকের হেলপার দিয়ে শুরু। এক সময় অপরাধ সাম্রাজ্যে জড়িয়ে কোটিপতি বনে যান। মাদক থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, বালুমহাল জবরদখলসহ যত অপরাধ ছিল, তার কাছে ছিল সহজ ব্যাপার।

এরপর কৃষক লীগ ও বিএনপি ঘুরে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। যাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার পর আদালত ফাঁসির রায় দিয়েছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের অপরাধের নিয়ন্ত্রক ছিল নূর হোসেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে প্রভাব বিস্তার করে ট্রাকের হেলপার নূর হোসেন অবৈধপথে উপার্জন করে গডফাদার রূপে আবির্ভূত হন।

nur

টাকার জোরে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কমকর্তা, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলেন তিনি। এ সুবাধে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করে বনে যান মাফিয়া সাম্রাজ্যের ডন।

প্রকাশ্যে অপরাধ করলেও নূর হোসেনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না কারও। অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চোরাকারবারি, ভাড়ায় মানুষ খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জুয়ার আসর ও অন্যের জমি দখল করাই ছিল তার পেশা।

তিনি এতটাই ক্ষমতাবান হয়ে উঠেন, র্যাবও পুলিশ সদস্যদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করেও বুক ফুলিয়ে চলতেন। ডজন খানেক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সারাক্ষণ তাকে পাহারা দিয়ে রাখতো। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও তার সঙ্গে মাদক সেবন আসরে মিলিত হতো বলে জানা যায়।

তাদের মনোরঞ্জনেরজন্য নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জে গড়ে তুলেন তিনটি রঙমহল। রঙমহলে মদপান ও নারীভোগের ব্যবস্থা ছিল। সব মহলকে ম্যানেজ করে নূর হোসেন হয়ে যান এলাকার স্বঘোষিত সম্রাট। তার কথাই ছিল এলাকার আইন। আগেকার সেই জমিদারি আমলের অত্যাচারী জমিদারদের মতই এলাকা শাসন করেছেন তিনি। নূর হোসেনের উত্থান ও পতনের মাঝে বহু লোক হয়েছে সর্বহারা, স্বজনহারা ও এলাকা ছাড়া।

কে এই নূর হোসেন? সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল টেকপাড়া এলাকার মৃত হাজী বদরউদ্দিনের ছেলে নূর হোসেন। ছয় ভাইয়ের মধ্যে নূর হোসেন তৃতীয়। তার বাব দাদাবহু জায়গা জমির মালিক থাকলেও শিক্ষা-দিক্ষা না থাকায় নূর হোসেন শখ করে গাড়িচালক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।

গাড়ি চালানো শিখতে ৯০ দশকের আগে সিদ্ধিরগঞ্জের আ. মান্নান কন্ট্রকটারের ট্রাকহেলপার হিসেবে কাজ নেন। এভাবেই শুরু হয় তার কর্মজীবন। ট্রাক হেলপার থেকে ট্রাক চালানো শিখে নেন তিনি।

nur

নূর হোসেন ১৯৮৬ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় ইকবাল গ্রুপ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ট্রাকের হেলপার ছিলেন। হেলপার হিসেবে কাজে যোগদান করার কিছুদিন পরই ট্রাকের নতুন চাকা খুলে চুরি করে বিক্রি করে দেয়ার অপরাধে তাকে পেটানো হয়।

চুরি করে ট্রাকের চাকা বিক্রি করা নূর হোসেনের প্রথম অপকর্ম। এরপর হতে অপরাধ জগতে পা বাড়াতে শুরু করে। শিল্পপতি মুহাম্মদ আলীর হাত ধরে ১৯৮৫ সালে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে।

১৯৮৮ সালের দিকে শিমরাইলে আন্তঃজেলা ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করেন দাইমুদ্দিন নামের এক ট্রাকচালক। দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দাইমুদ্দিনকে তাড়িয়ে ১৯৮৯ সালের দিকে শ্রমিক ইউনিয়নের স্থান দখল করেন নূর হোসেন।

১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে হয়ে যান বিএনপি নেতা। ১৯৯২ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয় নূর হোসেনসহ ১৩ জন। তখনকার জনপ্রিয় প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলামকে (নিহত নজরুলের শ্বশুর) পরাজিত করতে নূর হোসেনের পক্ষে মাঠে নামেন সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন।

তার কল্যাণে ভোট জালিয়াতি করে দুই-আড়াইশ ভোটের ব্যবধানে নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি প্রার্থী হিসেবে পরবর্তী ইউপি নির্বাচনেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় নূর হোসেন।

তখন আওয়ামী লীগ থেকে শামীম ওসমান প্রার্থী দেন নিহত নজরুল ইসলামকে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নূর হোসেনকে টেনে নেয় তৎকালীন এমপি শামীম ওসমান। গিয়াসউদ্দিনের সঙ্গে পল্টি দিয়ে নূর হোসেন যোগ দেন শামীম ওসমানের দলে। পরে বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা।

কিন্ত শামীম ওসমানের হাত ধরে লাইম লাইটে আসেন নূর হোসেন। ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতা মৃনালকান্তি দাস, এইচ টি ইমাম, মায়া চৌধুরীর ছেলে দীপু চৌধুরী, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। তখন শামীম ওসমানকে এড়িয়ে চলতেন নূর হোসেন।

১৯৯২ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নুর হোসেন গড়ে তুলে সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের মাধ্যমে পরিবহনে চাঁদাবাজি, জায়গা-জমি দখল, শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজি, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে পাথর বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেন নূর হোসেন।

এর আগে (বর্তমান এলডিবির প্রতিষ্ঠাতা) কর্নেল অলি আহমদের গাড়িতে বোমা মেরে আলোচনায় আসেন নূর হোসেন। ১৯৯৬ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে শিমরাইল মোড়ে তার বাহিনীর গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক আলী হোসেন। চাঁদাবাজি, জমিদখল আর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকারবাসীর আতঙ্ক হয়ে উঠেন নূর হোসেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও থেকে যান সব সময় অধরা।

২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের দিন ১ অক্টোবর রাতে স্বপরিবারে পালিয়ে যান ভারতে। তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপুলে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের লেখা ‘অতি জরুরি’ উল্লেখ করা একটি চিঠি পাল্টে দেয় নূর হোসেনের জীবন। চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে মেয়র মর্যাদায় পৌরসভার প্রশাসক পদে বসাতে এলজিআরডিমন্ত্রীকে তিনি এ চিঠি দেন।  

২০০৯ সালের ৮ জুন লেখা এ চিঠির জোরে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের রেড ওয়ারেন্ট থেকে নূর হোসেনের নামকাটা হয়। চিঠিতে এইচ টি ইমাম নবগঠিত সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভায় নূর হোসেনকে প্রশাসক পদে নিয়োগ দিতে এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানান।

এরপর ২০১৪ সালে নূর হোসেন সম্পর্কে ইন্টারপোলের ওই ওয়েবপেইজে কোনো তথ্যই দেখা যায়নি। জানা যায়, এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে একটিমাত্র চিঠি।

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে গ্রেফতার করতে গত ২২ মে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়ে চিঠি দেয় পুলিশ। চিঠিতে নূর হোসেনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি রেড ওয়ারেন্ট ইস্যুর কথাও বলা হয়। এতে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো রেড ওয়ারেন্ট জারি করে ইন্টারপোল।

নূর হোসেনের অবৈধ ব্যবসা :

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরে শিমরাইল আন্তঃজেলা ট্রাক টার্মিনাল। পূর্বাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী সব মাদক পরিবহনই এ টার্মিনালকে নিরাপদ ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করতো। প্রতিদিন হাতবদল হওয়া অন্তত ১০ ট্রাকের প্রতিটির বিপরীতে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত (মাদকের ধরন ও দাম অনুপাতে) চাঁদা নিতেন নূর হোসেন।

ট্রাক টার্মিনালে, কাউন্সিলরের অফিসের পেছনে (সাবেক জিহাদ হোটেল), টেকপাড়া, ডেমরা আদমজী রোডে ফজলুর রহমান ও আমিজ উদ্দিন পেট্রোল পাম্পের পেছনে প্রকাশ্যেই বিক্রি হতো ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা, মদ, বিয়ারসহ সব ধরনের মাদক। এসব মাদক ব্যবসার মালিকানায় ছিল সরাসরি নূর হোসেন। যা তদারকি করতেন নূর হোসেনের সহযোগী শাহজাহান, সানাউল্লাহ, আজাহার, আলী মোহাম্মদ ও তারসিল।

২২ মামলার আসামি নূর হোসেনের নামে ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স:

২২ মামলার আসামি হয়েও নূর হোসেন ডিসি এসপির সহায়তায় পেয়েছিল ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স। ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২২টি। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে।

নূর হোসেনের পতন:

গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ হওয়ার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। অপহৃতদের স্বজনরা ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করেন একসময়ের সন্ত্রাসীর গডফাদার নূর হোসেনকে।

নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। নূর হোসেনকে করা হয় মামলার প্রধান আসামি। ঘটনার তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অপহৃত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করার পর থেকেই নারায়ণগঞ্জে শুরু হয় গণবিস্ফোরণ।

নূর হোসেনকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেন এলাকাবাসী ও আইনজীবী সমাজ। গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান নূর হোসেন ও তার বাহিনী। অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে দেয় জেলা প্রশাসক। অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালায় নূর হোসেন ও তার সহযোগিদের বাড়িতে।  

নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও তার সত্যতা পাওয়া যায়।

এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে নিরুদ্দেশ হন সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই নেতা। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার এই পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

এরপর ২০১৪ সালের ১৪ জুন দুই সহযোগীসহ কলকাতায় গ্রেফতার হন নূর হোসেন। শেষ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তাকে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠান।

২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার নূর হোস্সেহ ৩৫ আসামির বিচার শুরু হয়।  এর ১১ মাসের মাথায় রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন, তাতে নূর হোসেনসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় আসে।

সিদ্ধিরগঞ্জের ত্রাসের রাজা নূর হোসেনের পতনে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও ভয়কাটেনি জনমনে। আইনের ফাঁক-ফোকর আর টাকার জোরে নূর হোসেন আবার এলাকায় ফিরে আসতে পারেন- এ ধারণাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। নূর হোসেনের জেলে থাকা সত্ত্বেও এখনো তার বাহিনীর সদস্যরা দাপটে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। নূর হোসেন ও তার সহযোগী অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে, রায় কার্যকর হবে। এটাই এলাকাবাসী ও নিহতদের পরিবারের চাওয়া।
 
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।