বাঁচতে চায় দিনাজপুরের শিশু নুপুর


প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭

ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত শিশু নুপুর (৬)। অথচ টাকার অভাবে পান দোকানদার বাবা বিকাশ চন্দ্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এলাকার মানুষের কাছে সাহায্য তুলে কিছুদিন আগে মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছিলেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজকুমার রায়, ডা. মো. সাহিদুর রহমান চৌধুরী (সবুজ) ও অধ্যাপক ডা. মো. জহুরুল ইসলাম শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার ব্রেইন টিউমারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং শিশুটির উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এজন্য প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে তারা জানান।

বিশাল অঙ্কের টাকার কথা শুনে নুপুরের বাবা হতাশ হয়ে পড়েন। সামান্য পান দোকানির এত টাকা জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি জাগো নিউজকে জানান, ছয় মাস আগে নুপুরের প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়। এরপর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। দিন দিন ব্যথা বড় হতে থাকে। এরপর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি মেয়ের ব্রেইন টিউমার হয়েছে।

তিনি জানান, চিকিৎসকরা বলেছেন এ রোগ বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে ভালো চিকিৎসা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জেনেছি ভারতে অপারেশন করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিকাশ চন্দ্র বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন ও মেম্বার খলিলকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও সাহায্য করতে চেয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬ হাজার টাকা সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

বিকাশ চন্দ্র দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। মেয়ে নুপুর কাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী।

একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে বাবা বিকাশ চন্দ্র সরকার ও মা পুতুল রানী বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। কিন্তু কোথাও থেকে সাহায্য পাচ্ছেন না তারা।

নুপুরকে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করুন; বাবা বিকাশ চন্দ্রের মোবাইল : ০১৭৩৩-৮২৪৩৩৪ নম্বরে। অথবা যোগাযোগ করতে পারেন জাগো নিউজের কান্ট্রি ইনচার্জ মাহাবুর আলম সোহাগের সঙ্গে। মোবাইল : ০১৭১১-৩৩৯৯৪৬।

এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।