বৈষম্যের শিকার পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
পৌর কর্মকতা-কর্মচারীরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, উন্নয়নের মহাসড়কে চলা সরকারের মূল লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ। এটি বাস্তবায়নে কাজ করছে সেবাধর্মী অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো পৌরসভাও। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা-কর্মচারীদের সঙ্গে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ খেলা হচ্ছে।
তারা বলেন, অন্য প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে প্রদান করা হলেও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ থেকে বঞ্চিত। অথচ দৈনিক ১০-১২ ঘণ্টা শ্রম দিয়ে নাগরিক জীবনকে পরিচ্ছন্ন রাখে তারাই। এক রাষ্ট্রে দ্বৈত নীতি চলমান থাকায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখানে কর্মরতরা। মনে রাখতে হবে পেটে থাকলে পিঠে সই। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন সংগ্রামে পূর্ণ শ্রম ব্যয়ের লক্ষে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভূক্ত হওয়া এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। শনিবার বেলা ১১টায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লার রফিক।
সংগঠনের কক্সবাজার সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কক্সবাজার পৌরসভার বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা কবি শামীম আক্তারের সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিঠির আহ্বায়ক খোরশেদ আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পৌর কর্মচারী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. হাফেজ উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনে সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কে জি এম মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৩২৬টি পৌরসভার মধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছে। এদের বেশির ভাগই নিয়মিত বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। জেলা শহরের পৌরসভা ছাড়া অন্যসব পৌরসভায় শুনা যায় ২-১৫ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া। কিন্তু সব ধরনের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের সভাপতি আবুল কালেম ভুইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সচিব সৈয়দ আবুজর গিফারী, কুমিল্লা পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান, ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হাজারী রুপক, নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি বেলাল আহাম্মদ খান, খাগড়াছড়ির সভাপতি উদয় জীবন চাকমা, বান্দারবান পৌরসভার সচিব তৌহিদুল ইসলাম, খুলনা জেলার সভাপতি রঞ্জন কান্তি গুহ, বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের দাবি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. শহীদুল ইসলাম।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/জেআইএম