লিটনের হত্যাকারীরা ছাড় পাবে না : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের খুনিদের অবশ্যই শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা পুলিশের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি।
আইজিপি একেএম শহিদুল হক বলেন, ২০১৩ সাল থেকে যতো হত্যাকাণ্ড হয়েছে প্রতিটি ঘটনা পুলিশ শনাক্ত ও উদঘাটন করতে পেরেছে। অপরাধ করে কেউ রক্ষা পায়নি। এমপি লিটনের হত্যাকারীরাও রক্ষা পাবে না।
আইজিপি আরও বলেন, স্থানীয়রা এ এলাকাকে শান্তিপ্রিয় বলে উল্লেখ করলেও সুন্দরগঞ্জে চার পুলিশ হত্যাকাণ্ডসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের নানা তাণ্ডবের কারণে আমি সুন্দরগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বলে মনে করি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যে এলাকায় থাকে সেই এলাকা সন্ত্রাসী জনপদে পরিণত হয়। তবে এলাকার মানুষ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সুন্দরগঞ্জকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত জনপদ হিসেবে আমরা গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, অধিকাংশ জঙ্গিরা নর্থবেঙ্গলের। গাইবান্ধা, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তাদের বাড়ি। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে বিশেষ দল তাদের টাকা দিয়ে নিজেদের অনুসারী করে।
অভিভাবকদের নিজেদের সন্তানের খোঁজখবর রাখার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, লক্ষ্য রাখবেন জঙ্গিদের কোনো প্রভাব যেন তাদের ওপর না পড়ে।
মঞ্চে উপস্থিত নিহত সাংসদ লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চান।
তাকে সমবেদনা জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘আপনার বেদনা আমি বুঝি। আমি ওয়াদা করলাম, খুনিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় অবশ্যই আনবো।’
আইজিপি স্থানীয়দের উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের কাছে সংসদ সদস্যের হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের জানাবেন। তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, নিহত সাংসদ লিটনের বড় বোন আফরোজা বানু জ্যোৎস্না ও লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি।
জিল্লুর রহমান পলাশ/এএম/জেআইএম