মা চাঁদা না দেয়ায় মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০২:৫৪ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহে মা চাঁদা না দেয়ায় মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদ ওরফে দুলাল ডাকাত।

শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার দুলালের বাড়ি থেকে শিশু কন্যাসহ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ সময় দুলাল চেয়ারম্যানের অন্য আস্থানা আবদুর রহমানের বাড়ি থেকে চায়না ৭.৬২ পিস্তলের ১৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার রাতে নির্যাতিতা বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করেছেন। রোববার ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্যাতিতা জানান, তার বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ায় ব্যাংকে রক্ষিত টাকা তোলার পর থেকে দুলাল আহম্মেদ আমার বড় ভাই মো. শেখ রাসেলের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। শুক্রবার গভীর রাতে মায়ের কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।

তিনি বলেন, চাঁদার টাকা না দেয়ায় তার নির্দেশে ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টেনেহিঁচড়ে আমাকে ও আমার শিশুকন্যাকে (২ বছর ৬ মাস) তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে।

খবর পেয়ে গৌরীপুর থানা পুলিশের এসআই  রিপন চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ শনিবার অভিযান চালিয়ে দুলাল আহাম্মেদের কক্ষ থেকে শিশুকন্যাসহ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। এ সময় দুলাল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

এসআই রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযানের সময় দুলালের আরেক আস্থানা সোনাকান্দি গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আবদুর রহমানের ঘর থেকে পলিথিন ও স্কচটেপে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় চায়না ৭.৬২ মডেল পিস্তলের ১৩ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

গৌরীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহম্মদ বলেন, দুলাল আহাম্মেদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, নারী নির্যাতনের একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।