জুতা চুরির অপবাদে শিশুকে নির্যাতন!


প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০১৭

সাতক্ষীরায় জুতা চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু বাপ্পিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর ও নির্যাতন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের কাটিকা লষ্করপাড়া মানিক ময়রার মোড় সংলগ্ন বাবলুর দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

শিশু বাপ্পিকে দোকানের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করে দোকানদার বাবলুর রহমান। শিশু বাপ্পি (৮) পার্শ্ববর্তী লস্করপাড়া মন্দির মোড়ের ভাড়াটিয়া সোহেল উদ্দীনের ছেলে ও শাল্লি সাতক্ষীরা আদর্শ দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

শিশুটির মা নাজমা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, অন্যের কাছে জানলাম ছেলে বাপ্পিকে খুঁটিতে বেঁধে রেখেছে। দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি খুঁটিতে বাঁধা। পরে তাদের হাতে-পায়ে ধরে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। আমরা গরিব মানুষ। বাপ্পির বাবা ভ্যান চালায়। আমি অন্যের বাড়িতে কাজ করি। বলেছে বাপ্পি নাকি জুতা চুরি করেছে। বাপ্পি জুতা চুরি করেনি।

শিশুটির দাদি ছবিরন বিবি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমি ভিক্ষা করে খাই। ওকে আর এখানে রাখবো না অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেবো।

সদরের কাটিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পায়নি। ঘটনাস্থল থেকে জানলাম পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুস সেলিম ও মহিলা কাউন্সিলর জোসনা আরা ছেলেটিকে মুক্ত করে দিয়েছে।

তবে অভিযুক্ত বাবলুর রহমান বেঁধে রাখার কথা অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, শিশুদের বেঁধে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। বেঁধে রাখার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছিল। পরে সেলিম কমিশনারের কাছে মোবাইল করে তার কাছে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

আকরামুল ইসলাম/এআরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।