রংপুরের মানুষ মঙ্গা শব্দটি ভুলে গেছে : প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৭:১৫ এএম, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবহেলিত পিছিয়ে পড়া যে রংপুর মঙ্গা নামে পরিচিত ছিল, সেই নাম আওয়ামী লীগ সরকারের গত আট বছরে মুছে গেছে। রংপুরের মানুষ ভুলে গেছে মঙ্গা শব্দটি। রংপুর বিভাগ এখন সবদিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ছাত্রীদের জন্য শেখ হাসিনা হল নামের দুইটি স্থাপনার ভিত্তি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম নূর- উন-নবী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন। সকাল সোয়া ১০টায় থেকে বেলা ১১টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত বেরোবির সঙ্গে এ ভিডিও কনফারেন্স চলে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, বেগম রোকেয়াই আমাদের নারী শিক্ষার পথ দেখিয়েছিলেন। তিনিই আমাদের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন। তাই সেই নামের মর্যাদা সকলকেই দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলবে।

দেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রীদের আবাসনের জন্য শেখ হাসিনা হলটির প্রস্তাবিত আসন সংখ্যা ৬শ থাকলেও একনেক সভায় তা বাড়িয়ে এক হাজার করা হয়েছে। কারণ দেশের ছাত্রদের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষায় ছাত্রীরা সমানতালে এগিয়ে আসছে।

বিজ্ঞান শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে গবেষণা অব্যহত রাখতে হবে। আর এই গবেষণা অব্যহত রাখতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং শেখ হাসিনা হল বিশ্ববিদ্যালয়টির অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। গবেষণায় ও জ্ঞান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের প্রধান এবং বিশ্বের অন্যতম রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পরিণত হবে।

পরে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার মাধ্যমে ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং ছাত্রীদের জন্য শেখ হাসিনা হল নামের দুইটি স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সাড়ে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ১০ তলাবিশিষ্ট ড. ওয়াজেদ ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ছাত্রীদের জন্য এক হাজার আসন বিশিষ্ট আধুনিক সুবিধা সম্বলিত আবাসিক হল শেখ হাসিনা হল। যার কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ায় কথা রয়েছে।

সজীব হোসাইন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।