মাতৃভাষার বই পেয়ে পাহাড়ি শিশুদের উচ্ছ্বাস


প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ০১ জানুয়ারি ২০১৭

এবারই প্রথম মাতৃভাষায় নতুন বই পেয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা। সারা দেশের সঙ্গে রাঙামাটিতেও বছরের প্রথম দিন পাঠ্যবই হাতে পেয়ে খুশিতে নাচছে পাহাড়ি শিশুরা।

এ বছর থেকে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক স্তরে চার জাতিগোষ্ঠী চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সাদ্রি ভাষার ওপর প্রণীত স্ব স্ব মাতৃভাষার পাঠ্যবই শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।    

রোববার প্রাথমিক শিশুদের পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতেও বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পৃথক অনুষ্ঠানে শিশুদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান।

সকালে শহরের নিউ রাঙামাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বনরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রানী দয়াময়ী উচ্চবিদ্যালয় এবং শহীদ আবদুল আলী একাডেমি উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠ্যবই বিতরণ করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। এ সময় জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

Rangamati

পাশাপাশি পৃথকভাবে রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কাঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেন জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান।

রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বনরুপা আল-আমিন ফাজিল মডেল মাদরাসা ও মুজাদ্দেদ-ই আলফেসানি উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এবছর জেলায় মোট ৪ লাখ ৮৯ হাজার পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সাদ্রি জাতিগোষ্ঠী শিশুদের জন্য প্রণীত মাতৃভাষার ১২ হাজার ৮৩১টি পাঠ্যবই।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।