মংলায় সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ছাদ ধস : নিহত ৫


প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ১২ মার্চ ২০১৫

বাগেরহাটের মংলা বন্দর এলাকায় সেনাকল্যাণ সংস্থার এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ডের সিমেন্ট ফ্যাক্টরির নির্মাণাধীন ৫ তলা ভবনের ছাদ ধসে ৫ জন নিহত এবং ৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন, মাহাফুজ হাওলাদার, আমির আকন্দি ও আল-আমিন। তাদের বাড়ি রামপাল উপজেলায়।

অন্যদিকে, আহতদের খুলনা শেখ আবু নাসের বিষেশায়িত হাসপাতাল, মংলা বন্দর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিৎকিসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও অর্ধশতাধিক নির্মাণ শ্রমিক ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহ আলম সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মংলার নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বাগেরহাট-মংলার ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।  এদিকে এই ভবন ধসের পরপরই ফ্যাক্টরির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়।

কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার মেহেদি মাসুদ জানান, ধসে যাওয়া ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময় হঠাৎ ভবনটি ধসে পড়ে।
 
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ৫তলা ভবনের ৩নং বল রুমের নির্মাণাধীন ছাদ ধসে পড়ে। খবর পেয়ে মংলা নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

প্রাথমিকভাবে নির্মাণকাজের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আহত-নিহতদের তালিকা প্রস্তুতকাজে নিয়জিত এসআই সুফল। তিনি জানান, সকাল থেকে ওই ভবনে দেড়শ জনের মত শ্রমিক কাজ করছিলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর এ ভবটির কাজ শুরু হয়। সিএনবিএম ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এ ভবনের কাজ করছিলেন। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর ভবনের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ভবটির ব্যায় নির্ধারণ হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহ আলম সরদার ঘটনাস্থল থেকে জানান, উদ্ধার হওয়া নিহতদের লাশ মংলা বন্দর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান শেষ হতে কত সময় প্রয়োজন তা তারা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

এদিকে, ভবন ধসের খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহত ও আহত শ্রমিকদের স্বজনেরা ফ্যাক্টরির সামনে গিয়ে আহাজারি করতে থাকে। একারণে ফ্যাক্টরির প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে থাকা বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহ আলম সরদার জানান, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এমএএস/এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।